1. info@www.dailybdcrimetimes.com : দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস.কম :
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ১০:৩৭ অপরাহ্ন
Title :
নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন নেতা ও আওয়ামী যুব মহিলা লীগের নেত্রী মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা টাকা আত্মসা করে প্রকাশ্য দিবালোকেও ঘুরে বেড়াচ্ছেন ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণ, অভিযুক্ত পলাতক জলঢাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি এমসিপির সমন্বয়কারী কমিটি গঠন প্রধান সমন্বয়কারী রেজাউল করিম রাজু মাগুরার তালখড়ি গ্রামে স্বামীর মৃত্যুর শোকে এক মাসের ব্যবধানে স্ত্রী আত্মহত্যা বাউফলে ৮ ফুট জায়গা কেড়ে নিলো এক নারীর জীবন জলঢাকা গোলনা ইউনিয়নে চলছে অবৈধ বোমা মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব শ্রীপুরে মেলা থেকে ফেরার পথে স্কুলছাত্রীকে জোরপূর্বক দোকানের ভিতর ধর্ষণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্কুলছাত্রের উদ্ভাবন অংশ নিচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে বাহার ভিলাতে ঈদ আনন্দ ও শুভেচ্ছা বিনিময় “আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে- বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির

বাউফলে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা, নেপথ্যে কারা!

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৮৫ Time View

এম জাফরান হারুন::

পটুয়াখালীর বাউফলে ইতি দাস (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত ইতি উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দাশপাড়া গ্রামের নিরঞ্জন দাসের মেয়ে। সে বরিশাল বিএম কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলো। সোমবার (৩রা ফেব্রুয়ারী) রাত ৯টার দিকে উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের দাশপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের পরিবার জানায়, সোমবার বেলা ১২টার দিকে ইতি দাস সরস্বতী পূজায় অঞ্জলীতে অংশ নিতে বাউফল সরকারি কলেজে যায়। সেখান থেকে অনিক নামের তার এক বন্ধুর সাথে পৌর শহরের পাবলিক মাঠ এলাকায় ঢাকাই ফাস্টফুড নামের একটি রেস্টুরেন্টে যায়। সেখানে একদল বখাটে তরুণ ইতি দাস ও তার বন্ধুকে জিম্মি করে লাঞ্চিত করে। ওই সময় হোটেলে বাউফল থানার এক পুলিশ অফিসারও ছিলেন বলে জানা গেছে। এক পর্যায়ে ওই বখাটে তরুণরা ইতি ও তার বন্ধুকে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ওই পুলিশ অফিসারও সাথে ছিলেন বলে একটি সূত্র জানান। সূত্র আরও জানায়, ইতি বা তার বন্ধুকে অফিসিয়ালি থানায় না নিয়ে থানা কমপ্লেক্সের মধ্যে একটি টোলঘরে অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখা হয়েছিল।

এরপর বিকেল ৪টার দিকে ইতির বাবা নিরঞ্জন দাসকে একটি ফোনের মাধ্যমে ইতিকে থানা থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হলে বাবা নিরঞ্জন দাস মেয়েকে থানা থেকে বাড়ি নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, থানায় নেয়া এবং বখাটেদের লাঞ্চনার শিকার হওয়ার ঘটনায় সৃষ্ট আবেগে রাত ৯টার দিকে নিজ ঘরে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

নিহত ইতির বাবা নিরঞ্জন দাস জানান, একটি নম্বর থেকে ফোন করে তার মেয়েকে থানায় আটকে রাখার কথা জানানো হয়। পরে তিনি থানায় গিয়ে মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যান। এতে লজ্জায় ইতি নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয়। ঝুলন্ত অবস্থায় ইতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দিবেন না বলে জানান ইতির বাবা।

এবিষয়ে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক মো. গোলাম মুস্তাহিদ জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ইতির মৃত্যু হয়েছে। নিহতের গলায় ফাঁসের চিহৃ দেখা দেখা গেছে।

এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ইতির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং