ক্রাইম রিপোর্টার : তানভীর খান
টাংগাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলায় বাশতৈল ইউনিয়ন এর আমতলপাড়া গ্রামে প্রেম করে বিয়ে করেন জাহিদুল ইসলাম পাশের বাড়ির শিফা আক্তার নামে এক মেয়েকে। বিয়ের কাবিননামা দেয়া হয় ৪ লাখ টাকা। সেই রাতেই তাদের বাড়িতে এনে স্থানীয় লোক ও ২ জন ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান এবং শাজাহান সিরাজ মেয়েকে বুঝিয়ে দেন তার পিতা- ফজলুর রহমান, মাতা- মোছাঃ নিলুফা তাদেরকে সেখানে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় এই বিষয় নিয়ে কোনো মামলা বা হুমকি দিবে না। কিন্তু রাখে কি তাদের কথা না রেখেই মামলা করেন জাহিদুলের পারিবারের সবার নামে।
জাহিদুল ইসলাম বলেন,যদি সে অপহরণ বা ধর্ষণ করে থাকে তাহলে তাকে যে শাস্তি দেয়া হবে তাই মেনে নিতে রাজি। কিন্তু যে মামলা করেছেন এটা একটা মিথ্যা মামলা।
এদিকে আবার জাহিদুলের মা জোসনা বেগম জানান, বিয়ে করার দিন সেই রাতেই শিফা আক্তারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ২ মাস পরে যে মামলা করেছেন এটা একটা মিথ্যা মামলা।
এই বিষয়ে শিফা আক্তারের পরিবারের সাথে কথা বললে, তারা আমাদের সাথে এই ধর্ষণ বা অপহরণ মামলা সম্পর্কে কথা বললে প্রথমেই জানান এই বিষয়ে আমাদের সাথে কথা বলবে না। যা বলার উকিল এবং ডিবির সাথে কথা বলতে এই বিষয়ে তারা কিছু জানেন না, যা জানেন শিফার মামা মনিরুজ্জামান
তার মামা বলবেন। আমরা তার মামার সাথে কথা বলার জন্য তার প্রতিষ্ঠান নলুয়া ইউরেকা স্কুল এন্ড কলেজে গেলে শিফার মামা মনিরুজ্জামান বলে সেই রাতে নাকি বুঝেই পাই নি তার ভাগনিকে, জাহিদুল ইসলাম তার ভাগনিকে জোর পুর্বকভাবে অপহরণ করে বাসায় আটকিয়ে রেখেছেন, এদিকে আবার শিফা আক্তারের বাবা ফজলুর রহমান বলেন,ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় লোকজন তার মেয়ে শিফা আক্তারকে সেই রাতেই বুঝে পায়, এই মামলা করেছেন তার মেয়েকে জোর করে অপহরণ করেছেন ।এদিকে আবার ”মামলার কপিতে লেখা আছে একাধিক বার ধর্ষণ করেন”তিনি আরও জানান ইউপি সদস্যরাও নাকি ব্যার্থ হয়ে গেছেন তাই অপহরণ মামলা করেছেন ।আমরা তখন শিফা আক্তারের সাথে কথা বলতে চাইলে আমাদের তার সাথে দেয়া হয় না কথা বলতে।আমরা জিজ্ঞেস করি ধর্ষণ যদি করে থাকেন তাহলে এটার সুষ্ঠ বিচার হবে আমাদেরকে বলেন সত্যিই কি এমন হয়েছে তখন আমাদেরকে জানান, এটা এক ডিবি জানেন এবং যদি মামলা বিষয় কথা বলতে হয় তাহলে জানি ডিভি বা উকিলের সাথে কথা বলি।
এদিকে স্থানীয় বাশতৈল ইউনিয়ন এর ১ং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: মনিরুজ্জামান বলেন শিফা আক্তারের পরিবার যে মামলা করেছেন এটা সঠিন নন কারণ সে রাতেই তার মেয়েকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। আবার ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাজাহান সিরাজ জানান, এলাকাবাসী এবং আমরা ইউপি সদস্য মিলে তাদের মেয়েকে বুঝিয়ে দিয়েছি। তারা যে অপহরণের মামলা করবেন এমন কোনো কথাই ছিলো না। আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তারা কোনো মামলা করবেন না। শিফা আক্তারের পরিবার যে মামলা করেছেন এটা একটা নাটক সাজানো হয়েছে।
আমরা স্থানীয় লোকজন এবং বিচার সভায় ছিলেন যারা তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান, শিফা আক্তারের পরিবার যে অপহরণ মামলা যে করবেন এমন কোনো কথাই ছিলো না। এই মামলা করে ২ জন ইউপি সদস্য কে করা হয়েছে অসম্মান যা খুবই অপমানজনক।এবং ফজলুরের মেয়েকে দেয়ার সময় প্রমাণ সহ ভিডিও ফুটেজ আছেন।