এম জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী::
পটুয়াখালীর বাউফলে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মোঃ হারুন মৃধা (৪৫) কে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে। এতে বাউফল থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রামনগর তাতেরকাঠি গ্রামে। আহত হারুন মৃধা, ওই গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল কাদের মৃধার ছেলে। তিনি বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
সরেজমিনে গুরুত্বর জখম হয়ে আহত হওয়া মোঃ হারুন মৃধা বলেন, আমাদের পাশের বাড়ির আলমগীর হাওলাদার একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতি লোক। কিছুদিন আগে তার সাথে আমার এই জমি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তারই জের ধরে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে আমি জমির কাজ শেষ করে আমার বাড়ির সামনে আসতেই আলমগীর হাওলাদারের নির্দেশে মহিউদ্দিন সিকদার, রাকিব, মিরাজ ও জাহিদ সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার পথরোধ করে দাড়ায়। এবং কোনও কথা নেই বার্তা প্রথমে আমার বাম চোখ লক্ষ্য রাকিব ঘুষি মারে। পরপরই মহিউদ্দিন সিকদার আমার ডান পা লক্ষ্য করে রাম দা দিয়ে কোপ মারে। সবাই আমাকে জোর করে আমার ডান পা শরীর থেকে আলাদা করতে আবার কোপ মারে। এসময় আমার ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন ও আমার স্ত্রী এসে বাধা দিয়ে আমাকে উদ্ধার করে।
এব্যাপারে আহত হারুন মৃধার স্ত্রী শাহানাজ বলেন, স্থানীয় লোকজন সহ আমরা ঝাপিয়ে পড়ে আমার স্বামীকে খুনের হাত থেকে বাচাতে সক্ষম হই। কিন্তু আমার গলায় থাকা স্বর্নের একটি চেইন ওরা থাবা মেরে ছিড়ে নিয়ে গেছে। এব্যাপারে আমার স্বামী হারুন মৃধা বাদী হয়ে বাউফল থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। আমি আমরা এ হত্যা চেষ্টার বিচার দাবি করে দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার পূর্বক কঠিন বিচার দাবি করছি।
এব্যাপারে নির্দেশদাতা আলমগীর হাওলাদারের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হারুন মৃধা ভালো একটা ভালো ছেলে। তবে তার সাথে কিছুদিন আগে আমার একটা সমস্যা হয়েছিল। আমি হারুন মৃধাকে মারার জন্য কোনও হুকুম দেইনি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান এসএম মহসিন বলেন, ঘটনা যখন ঘটেছে তখন আমি ঢাকা থেকে বাউফলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলাম। তবে আমি জানি তারা সবাই রিলেটিভ। তাদের মধ্যে একটা জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিল।
এবিষয়ে বাউফল থানার নবগত ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এবং আসামিদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পরর্বতীতে ঘটনা তদন্ত পূর্বক কাগজপত্র আদালতে প্রেরণ করা হবে।