এম জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী::
বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চর ওয়াডেলের বাসিন্দা মোঃ ওমর মুন্সির সেই ছেলে সোহাগ মুন্সি নামে যুবককে গরু চুরি চোর সন্দেহে ঘরে আটকে রেখে রাতভর নির্যাতনের ঘটনার সংবাদ ভাইরাল হয়েছে। এখন দোষীরা তাদের নিজেদের বাচাতে উল্টাপাল্টা দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
নির্যাতনে আহত মোঃ সোহাগ মুন্সির বাবা মোঃ ওমর মুন্সি বলেন, রাতভর বিভিন্ন ভাবে বেধড়ক মারধর সহ হাতে পায়ে সুই ঢুকিয়ে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন চালায় আমার ছেলে সোহাগ কে। পরেরদিন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে আমরা আমাদের ছেলেকে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করি। এঘটনা স্থানীয় সাংবাদিক ভাইরা জেনে এসে তথ্য নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় প্রচার করেন। তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। সোমবার (১৫ই জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে বাউফল থানায় দোষীদের বিচার শাস্তির দাবিতে অভিযোগ দিতে গিয়ে দেখি দোষীদের মধ্যে খোকন খা নামে একজন তার পরিবার নিয়ে এসেছে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সাজানো মামলা দিবে বলে। যাহা তাদের ছলচাতুরী ও নিজেদের এখন কিভাবে বাচানো যায় বা কিভাবে কি করে রেহাই পাওয়া যায় তা নিয়ে এখন দোষীরা সবাই উল্টো আমাদের বিভিন্ন ভাবে ফাসাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। আমরা আমার ছেলে কে নির্যাতনের সঠিক বিচার শাস্তির দাবিতে বাউফল থানার ওসি বরাবর দোষীদের নাম উল্লেখ করে এজাহার করতে লিখিত দিয়েছি। আশা করছি আমরা আমাদের সঠিক বিচার পাবো।
এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, আহত মোঃ সোহাগ মুন্সি বলেন, গত বুধবার রাতে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের খানকা নামক স্থানের বাসিন্দা আলিমাত চৌকিদারের ৪টি গরু ও লোকমান খার ২টি গরু চুরি হয়। এদিকে শনিবার (১৩ই জানুয়ারি) আমি আমার বাবার সাথে আমাদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাটি হয়। আমি রাগ করে বিকেলের দিকে কালাইয়া লঞ্চ দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে ধুলিয়া পর্যন্ত আসি। এদিকে হঠাৎ স্পীডবোট দিয়ে আমার পাশের বাড়ির ফোরকান খা, লোকমান খা, আনার কাজি, সিদ্দিক খা, হেমায়েত খা, খোকন খা, আবদুল খা, হামেদ গাজি ও আলিমাত চৌকিদার সংঘবদ্ধ হয়ে এসে আমাকে ধরে নিয়ে আসে। আমি কিছু বুজে ওঠার আগেই চন্দ্রদ্বীপ চেয়ারম্যান ঘের নামক স্থানে নামিয়ে তারা আমাকে বেধড়ক মারধর করে। সেখান থেকে আমাকে মারতে মারতে নিয়ে যায় আলিমাত চৌকিদারের ঘরে। সেখানে আমাকে সারারাত আটকিয়ে রেখে বিভিন্ন ভাবে মারধর সহ নির্যাতন চালায়। পরেরদিন রোববার বেলা এগারোটার দিকে তারা সবাই মিলে খানকা ক্লাবে নিয়ে আবারও মারধর সহ নির্যাতন চালায়। আমি কোনও গরু চুরির সাথে জরিত না এবং তাদের কোনও গরু আমি চুরি করিনি। আমাকে নির্যাতনের বিচার চাই।