এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী::
পটুয়াখালীর বাউফলে জায়ামাতে ইসলামীর তিন সমর্থকের ওপর হামলায় ঘটনায় পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলনের পর বিএনপি ও জামায়াতের উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে সমঝোতা করে দিয়েছেন।
রোববার (২০ই অক্টোবর) দিবাগত রাতেই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ (ফিরোজ) ও উপজেলা জামায়াতের আমির মো. রফিকুল ইসলাম দুই পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করেন। পরে তারা বাউফল থানার ওসি মো. কামাল হোসেন এর কাছে গিয়ে তাদের মধ্যে সমঝোতার বিষয়টি অবহিত করেন।
এর আগে গত শনিবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার কনকদিয়া ইউনয়নের আমিরাবাদ বাজারে মো. মনিরুজ্জামান ওয়াজিবুল্লাহ (৩০), নাইম আবদুল্লাহ (২৮) ও মো. আলামিন (২৫) নামে তিন ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করে পিটিয়ে আহত করে স্থানীয় কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের অনুসারীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা জামায়াত ইসলামীর নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
জামায়াতের ওই বিক্ষোভের প্রতিবাদে কনকদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা রোববারদিন সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা যুবদলের সদস্য মো. তোফাজ্জেল হোসেন (তপু) বলেন, যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁরা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানি করেছেন। এখন তারা জামায়াত সেজে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছিলো। এ কারণে ভুক্তভোগি লোকজন তাদেরকে মেরেছে। এ ঘটনাকে সাধারণ নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি আখ্যা দিয়ে দুই পক্ষেরই সমালোচনা করেন। পরে রোবরার রাতেই জামায়াত ও বিএনপির নেতারা দুই পক্ষকে নিয়ে বসে আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে সমঝোতা করে দেন। এই সমঝোতায় কোনো বিনিময় ছিল না বলে জানা গেছে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ (ফিরোজ) ও উপজেলা জামায়াতের আমির মো. রফিকুল ইসলাম অভিন্নভাবে বলেন, জামায়াত ও বিএনপি একে অপরের বন্ধু। এরপরেও একটু ভুল বোঝাবুঝির কারণে তুচ্ছ একটা ঘটনা ঘটেছে, যা কোনো বিনিময় ছাড়াই সমঝোতা করে দেওয়া হয়েছে। বিগত দিনে বিএনপি ও জামায়াত মিলে মিশে শেখ হাসিনার পতনের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলো এবং আশা করি দেশের স্বার্থে ভবিষ্যতেও একত্রিত হয়ে সব আন্দোলন সংগ্রাম করবেন।
ওসি মো. কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আহত ব্যক্তিদের অভিযোগ তারা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ভবিষ্যতে এ জাতীয় ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে বিষয়ে দুই পক্ষকেই বলে দেওয়া হয়েছে।