হৃদয় শিকদার ,নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট পাওয়া যাবে, তাহলে মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিদেশ গমন ঠেকাতে করণীয় কি??
জাতীয় পরিচয়পত্র হচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণের দেশীয় দলিল, আর বাংলাদেশী পাসপোর্ট হচ্ছে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রমাণের আন্তর্জাতিক দলিল।
মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিদেশ গমন ঠেকাতে/ প্রতিরোধ করতে হলে মামলাটি যদি তদন্তাধীন থাকে তাহলে তদন্তকারী সংস্থা কর্তৃক প্রয়োজনীয়তা অনুসারে বিজ্ঞ আদালতে আবেদনের মাধ্যমে অথবা যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন পূর্বক অভিযুক্ত ব্যক্তির বিদেশ গমন ঠেকানো সম্ভব।
মামলাটি বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন থাকলে অথবা মামলার যেকোনো পর্যায়ে মামলার বাদীপক্ষ বিজ্ঞ আদালতে আবেদনের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিদেশ গমন ঠেকাতে পারবেন।
এক্ষেত্রে বাদীপক্ষকে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে আবেদন পেশ করতে হবে। আপনার উপস্থাপিত তথ্য প্রমাণে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে যেতে পারে এবং পালিয়ে গেলে মামলার ন্যায় বিচার ব্যহত হবার সম্ভাবনা রয়েছে মর্মে বিজ্ঞ আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় সেক্ষেত্রে বিজ্ঞ আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন।
বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক বিদেশ গমন রোধের আদেশ অথবা তদন্তকারী সংস্থা কর্তৃক যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযুক্ত ব্যক্তির বিদেশ গমণরোধ করার পাশাপাশি চাহিদার ভিত্তিতে অভিযুক্ত ব্যক্তি মামলার পলাতক আসামী হলে অথবা তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকলে এয়ারপোর্ট বা স্থলবন্দর বা নৌবন্দর হতে তাকে গ্রেফতার পূর্বক যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ এয়ারপোর্ট অথোরিটি দ্বারা উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করানোর সুযোগ আছে।
কাজেই কেউ পাসপোর্ট পেয়ে গেলে বিদেশ পালিয়ে যাবে এমন নয়। বিদেশ যাওয়ার জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স মূল ফ্যাক্টর। কোন ব্যক্তি কোন মামলায় অভিযুক্ত হলে তার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আটকে যেতে পারে। তবে মাল এশিয়া যেতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগে না, পাসপোর্ট থাকলেই ভিসার আবেদন করা যায়।
[আমার দেয়া তথ্যে ভুল ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে দিলে কৃতজ্ঞ হবো। বিস্তারিত জানার জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করতে পারেন।]
পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশকে দূর দুরান্তে যেতে হয়, অনেক কর্মঘণ্টা ব্যয় করলেও পুলিশ কোন বিল পান না। তাছাড়া অনেকক্ষেত্রে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের নামে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উৎকোচ গ্রহণের কথাও শোনা যায়। পাসপোর্টের ভেরিফিকেশন করা না লাগলে পুলিশের কিছুটা বিশ্রামের সুযোগ হতে পারে বা পাসপোর্টের জন্য ব্যয়ীত কর্মঘণ্টা অন্য ক্ষেত্রে ব্যয় করা সম্ভব হবে। এতে দেশ উপকৃত হবে।