টাঙ্গাইল (মির্জাপুর) প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বিভিন্ন স্থানে বুধবার রাত ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বানাইল ইউনিয়নের হালালিয়ায় নদীর পার থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে পরিবহন ও বিক্রয়ের অপরাধে বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৭টি মাটির ট্রাক আটক করে উপজেলায় রাখা হয়েছে যার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়াও ভাদগ্রাম ইউনিয়নের একটি ভেকুর দুটি ব্যাটারী জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বংশাই নদীর পারে ভেকু চললে সেটার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়।
শুক্রবার রাতে উপজেলার মহেড়া, ফতেপুর ও ভাদগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু / মাটিকাটা, বিক্রয় ও পরিবহনের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ১টি মামলায় ১জন কে ৫০,০০০/- টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া, পারদিঘীসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দেখা যায় পারদিঘী গ্রামের নতুনভাবে নির্মানাধীন মসজিদে ড্রেজারের পাইপ বসানো হয়েছে। পূর্বে মাটি ফেললেও অভিযানের সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় মসজিদ কমিটি স্থানীয় মানুষের সাথে সমন্বয় করে মাটি ফেলছে।
আজ শনিবার দুপুরে গোরাই ইউনিয়নের পথহারা গ্রামে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে বিক্রির অপরাধে উক্ত ড্রেজারের ২টি টিউবওয়েল আটক করা হয় এবং প্রায় ১০০ ফিট পাইপ বিনষ্ট করা হয়। উক্ত স্থানে কাউকে না পাওয়ায় কোন মামলা হয়নি।
অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সোচ্চার হলে মির্জাপুরবাসী ভালো থাকবে। এমনই অফিসিয়াল ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ক্যাম্প, মির্জাপুর, অফিসার্স ইনচার্জ মির্জাপুর থানাসহ মোবাইল কোর্টে সহায়তাকারী সকল পুলিশ সদস্যসহ অন্যান্যকে।
অন্যদিকে তিনি আরও লিখেছেন, সাংবাদিক বন্ধুদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা সবসময় নিউজ দিয়ে সহায়তা করার জন্য।
ব্যক্তিগত ও সামাজিক সচেতনতা বাড়লেই সকল অবৈধ কার্যক্রম সহজে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জনসেবায় প্রশাসন থাকবে মির্জাপুরবাসীর পাশে ।