মো: আশরাফুল ইসলাম, শ্রীপুর (গাজীপুর)
গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামের শেখ বাড়ি মসজিদ এলাকার জয়নাল আবেদীনের ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষ থেকে, এক নারী গার্মেন্টস শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, ঘটনার পর থেকেই স্বামী পলাতক রয়েছে, স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী পালিয়েছে, এমনটাই ধারণা করছে পুলিশ।
২১ শে মে বুধবার সকাল ১০:টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোছাঃ আকলিমা আক্তার (৩০) ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার ইমুরিয়া গ্রামের আদনান ইসলামের স্ত্রী। আদনান ইসলাম (৩৫) মুক্তাগাছা মন্ডলসেন গ্রামের এশার আলী’র ছেলে আদনান তার স্ত্রীর মোছাঃ আকলিমা আক্তার’কে নিয়ে শ্রীপুরের আবদার এলাকায় ভাড়া থাকতেন, তারা দুজনই স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন।
পাশের ভাড়াটিয়া নূরুন্নাহার জানান, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পাশের রুম থেকে শিশুর কাঁন্নার শব্দ শুনতে পান। দীর্ঘক্ষণ কান্না চলায় তিনি দরজা ফাঁক করে উঁকি দিয়ে নারীর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মরদেহের পাশেই ছয় মাস বয়সী তোয়া মনি কাঁন্না করছিল। আকলিমার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।
স্থানীয়দের দাবি, দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগেই থাকত। ঘটনার আগের দিনও তাদের দুজনের মধ্যে মারামারি হয়। নিহতের ছোট ভাই শামীম ইসলাম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই আমার বোন স্বামীর নির্যাতনের শিকার হতো। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সে সব সহ্য করেই সংসার চালাত। স্বামী কোনো কাজ করত না, বোনই কারখানায় কাজ করে সংসার চালাত।
বাড়ির মালিক জয়নাল আবেদীন জানান, তারা দুই বছর ধরে ওই বাসায় ভাড়া ছিলেন। সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এবং পরে পুলিশে খবর দেন।
শ্রীপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস, মাতৃজগত পত্রিকা’কে জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত নারীর স্বামীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে কোনো বিরোধে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী পালিয়েছে, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল বারিক বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। বিষয়টি সন্দেহজনক। স্বামী পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে কোনো বিরোধে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী পালিয়েছে,।
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।