বরগুনা প্রতিনিধি, আলমগীর হোসেন শুভ :
বরগুনা পৌরসভার সাবেক মেয়র, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে পাওনা ২৮ লাখ টাকা ফেরত চাওয়ায় জীবননাশের হুমকির অভিযোগ এনেছেন পৌর এলাকার পুলিশ লাইনের মৃত: স্বামী জিয়াউল আহসান মিন্টু জোমাদ্দার ও একমাত্র পুত্র মৃত্যু সন্তান রনির মা মোসাঃ ফেরদৌসী বেগম।
বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টায় বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফেরদৌসী বেগম বলেন, সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেন আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ও পারিবারিক বন্ধু। ১৯৯২ সন হতে আমরা একসাথে পুলিশ লাইনে পাশাপাশি বসবাস করে আসছি। আমার স্বামী ও আমার একমাত্র ছেলে রনি জোমাদ্দার বেঁচে থাকতে শাহাদাত হোসেনের সাথে ব্যবসায়িক বহু লেনদেন ছিল। যা আমি স্বচোখে দেখেছি এবং জেনেছি। আমার স্বামী ২০১৬ সালে এবং আমার একমাত্র ছেলে রনি জোমাদ্দার ২০১৯ সালে দূরারোগ্য ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেন।
২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর মেয়র শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রী আমার বাসায় এসে ব্যবসার জন্য আমার নিকট থেকে প্রথমে ২০ লক্ষ টাকা পরে ৫ লক্ষ ও ৩ লক্ষ সর্বমোট ২৮ লক্ষ টাকা নেন। ২০২১ সালের পর হইতে আজ পর্যন্ত আমার টাকা দেই, দিচ্ছি বলে তার শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়া স্বত্বেও ঘুরাতে থাকেন। আমার একমাত্র মেয়ে জামাই সোহেল পঞ্চায়েত মেয়র শাহাদাত হোসেনকে বারবার তাগাদা দিলে তিনি বিরক্ত হয়ে আমাকে হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। গত ঈদুল আযহার দুই দিন আগে কিছু অপরিচিত যুবক আমার বাসায় এসে আমাকে এই বলে শাসীয়ে যায় যে, আপনি মেয়র শাহাদাত হোসেনের কাছে কোন টাকা পয়সা পাবেন না। যদি ফের আপনার জামাই টাকা পয়সা দাবী করে তাহলে বুঝে নিবেন, জীবন আগে? না টাকা আগে? সেই থেকে আমি আমার এতিম ২ নাতনী নিয়ে বাসা ছাড়া। আমি আমার মেয়ের বাসায় আর আমার নাতনীরা ও ছেলে বউ তার নানা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের কেজি স্কুল সংলগ্ন বাসায় অবস্থান করছে। আমরা তাদের ভয়ে বাসায় ফিরতে পারছি না। কারণ মেয়র শাহাদাত হোসেনের টাকার জোড়ে আমাদেরকে পৃথিবী থেকে বিদায় করে দিতে পারে এই আশংঙ্কায়। আমার বড় নাতী রেজোয়ান এ বছর জিলা স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী। শাহাদাত হোসেনের ক্যাডার বাহিনীর ভয়ে সে বাহিরে কোচিং ও প্রাইভেট পড়তে যেতে পারছে না।
সংবাদ সম্মেলনে ফেরদৌসী বেগম জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে সাবেক মেয়র শাহাদাত হোসেনের নিকট পাওনা ২৮ লাখ টাকা আদায়, তার পরিবারের সদস্যদের জানমালের নিরাপত্তা এবং তার নাতনীদের নিয়ে বাসায় ফিরতে পারেন তার জন্য সহযোগিতা কামনা করেছেন।