বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
বরগুনা আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো: খোকন বয়াতীর বাড়িতে এসডিএফ প্রকল্পের মৎস সমিতির নির্মানাধীন ঘাটের এক বান্ডিল রড আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এর সাথে জড়িত সাব ঠিকাদার বাবুল ও মৎস সমিতির সামসুর নাম উঠে এসেছে।
ঘটনাটি ২৪ জুন মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গুলিশাখালী বাজারে ঘটেছে বলে জানা যায়।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা খোকন বয়াতী গুলিশাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় সূএে জানা যায়,উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের এসডিএফ প্রকল্পের আওতায় মৎস সমিতির জেলেদের জন্য ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ঘাটের কাজ করেন সাব ঠিকাদার বাবুল। তাকে সহযোগিতা করেন মৎস সমিতির ১নং ওয়ার্ডের সভাপতি সামসু। মঙ্গলবার রাতে নির্মিত ঘাটের কাজ শেষে এক বান্ডিল রড সাব ঠিকাদার বাবুল ও সামসুর সহযোগিতায় গুলিশাখালী ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাড়িতে নিয়ে ভূয়া ম্যামো দেখিয়ে আত্মসাত করার পায়তারা করছে।এছাড়া কাজের মান অনেক খারাপ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন,এঘটনায় শুধু যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য খোকন নয় এসডিএফ প্রকল্পের আরো অনেকে জড়িত রয়েছে যা তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে।
অটো চালক সেলিম বলেন, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বাবুল ভাই আমাকে ডেকে নিয়ে যায়, খোকন মেম্বারের বাড়ি রড পাঠাবে বলে। এরপর অটো নিয়ে আসলে বাবুল ও সামসু ভাই রড উঠিয়ে দেয়। আমি জানতাম না এটা কিসের রড। বাবুল ভাই আমাকে খোকন মেম্বার বাড়ি রড দিয়ে আসতে বললে আমি দিয়ে আসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মো:খোকন বয়াতী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি রড আমতলী জিএম ইকফা এন্টারপ্রাইজ থেকে বাড়ির কাজের জন্য ক্রয় করেছি।আমার কাছে ম্যামো আছে।আমতলী থেকে রড আনলে সেটা আপনার বাড়ির সামনে নামার কথা কিন্তু গুলিশাখালী বাজার থেকে রাতে কেন নিবেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান।
সাব ঠিকাদার বাবুল বলেন,রডের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা, আমাকে মাল দেয় আমি কাজ করি।
আমতলী এসডিএফ এর ম্যানেজার আশিক জানান,আমিও বিষয়টি জেনেছি, খোকন বয়াতী বলছে তার রড কেনা,এছাড়া যাচাই-বাছাই করতে পারিনি।
ঘটনা যাচাই করার জন্য সরেজমিনে আমতলী জিএম ইকফা এন্টারপ্রাইজ রড সিমেন্টের দোকানে গেলে ম্যানেজার জাহিদকে পাওয়া যায়নি,দোকানে দায়িত্বরত ম্যানেজার মহিবুল ম্যামো বের করে দেখান।খোকন বয়াতীর কাছে থাকা ক্রয় দেখানো রডের ম্যামো নং ২৩০৫ যার বই নং২৪ খশরা হিসাবের ম্যামোর মুড়ি যার সিরিয়াল নং ২৩০৫ যার কোন বিক্রির হিসাব পাওয়া যায়নি।একদম সাদা পাওয়া যায়।
দোকানে দায়িত্বে মহিবুলের সাথে কথা বলে জানা যায় এই মুড়িতে কোন বিক্রি হয়না, শুধু খশরা হিসাব করা হয়।কেন এখানে বিক্রি দেখানো হলো এটা আমি জানিনা।