মোঃ রাসেল মিয়া,স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হরিণহাটি এলাকায় পাওনা টাকা না পেয়ে সেলুন অংশিদার আতিকুর রহমান আকন্দ (৫০) আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত আতিকুর রহমান গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম পাড়া লাকার বাসিন্দা ইউসুফ আকন্দ এর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৩০ জুন) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার বাবু খাঁন এর বনের মার্কেটের একটি সেলুন দোকানে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আতিকুর রহমান আকন্দ দীর্ঘদিন ধরে দোকানের অপর অংশীদার আহসান ওরফে হাসান (স্থানীয়ভাবে হাসান নাপিত নামেই পরিচিত) কাছে পাওনা টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন আতিকুর রহমান ওই সেলুনে গিয়ে কালো রঙের সেলুনে ব্যবহৃত এক টুকরা মোটা কাপড় দিয়ে দোকানের ভিতর গলায় ফাঁস দেন। এ সময় দোকানের সাঁটার খোলা হলে আহসানের ভাতিজা তানভীর ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে থানায় খবর দেন।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের পরিবার দাবি করেছেন, আতিকুর রহমান কোনোভাবেই আত্মহত্যার মতো মানুষ ছিলেন না। তাঁর স্ত্রী ও ছেলে অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে হাসানের কাছ থেকে পাওনা টাকা চেয়ে আসছিলেন আতিক। কিন্তু টাকা চাইলে হাসান তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিত। এমনকি কয়েকবার মারধরও করার চেষ্টা করে। আমরা মনে করি এটি পরিকল্পিত হত্যা, তাকে আত্মহত্যার পথে বাধ্য করা হয়েছে।
অপরদিকে অভিযুক্ত আহসান সাংবাদিকদের জানান, এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তার সাথে আমার টাকার লেনদেন আছে, সে আমার কাছে ৪ লাখ ৩ হাজার টাকা পাবে আমি দিবো। এলাকাব্যাপী সালিশও হয়েছে। আমি সময় চেয়েছি। সে কেন এমন করলো, বুঝতে পারছি না।
ঘটনার বিষয়ে কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।