গাজীপুর প্রতিনিধি:
শিক্ষাবিদ, শিশু-সংগঠক ও সাংস্কৃতিক অগ্রদূত প্রয়াত প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকীর ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গাজীপুরে স্মরণসভা, দেয়ালপত্রিকা উন্মোচন, বৃক্ষরোপণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
শনিবার সকালে নয়নপুরস্থ ইকবাল সিদ্দিকী স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণের সাযযাদ কাদির মঞ্চে দিনব্যাপী এ আয়োজন শুরু হয় ‘জ্ঞানধ্রুবতারা’ শিরোনামে দেয়ালপত্রিকা উন্মোচনের মধ্য দিয়ে। প্রভাষক টগর রুরামের নির্দেশনায় এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সূচনার সম্পাদনায় প্রকাশিত দেয়ালপত্রিকাটি উন্মোচন করেন ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক অসীম বিভাকর।
পরে স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটির সভাপতি শওকত সিদ্দিকী। সঞ্চালনায় ছিলেন প্রভাষক আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক অসীম বিভাকর বলেন, “প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী ছিলেন এক ধ্রুব নক্ষত্র—শুধু শিক্ষক নন, শিক্ষার্থীদের হৃদয়ের আলো। তাঁর নিয়মানুবর্তিতা, সততা ও শুভবোধ তাঁকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।”
সভাপতির বক্তব্যে শওকত সিদ্দিকী বলেন, “তিনি আমাদের পরিবারের অহংকার। তাঁর স্বপ্ন, আদর্শ আর নিরলস পরিশ্রমে আজকের প্রতিষ্ঠানটি দাঁড়িয়ে আছে। আমরা বিশ্বাস করি, তাঁর দেখানো পথেই আমরা এগিয়ে চলব।”
সোসাইটির প্রধান নির্বাহী হায়দার সিদ্দিকী উদয় বলেন, “ইকবাল ভাই ছিলেন আমাদের প্রেরণার উৎস। শিশুদের চোখে আলো দেখাতে তিনি যেমন শ্রম দিয়েছেন, তেমনি সমাজ বদলের স্বপ্নও বুনেছেন। আমরা তাঁর সেই উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
স্মৃতিচারণে কবি,লেখক ও সাংবাদিক শাহান সাহাবুদ্দিন বলেন, “প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী ছিলেন মানবিক শিক্ষার প্রতীক। তাঁর ব্যবহারে ছিল শুদ্ধতা, হৃদয়ে ছিল ভালোবাসা। তাঁর অবর্তমানে আমরা শুধু একজন শিক্ষককে নয়, একজন আলোকবর্তিকাকে হারিয়েছি।”
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আসিকুর রহমান অর্ণব বলেন, “স্যার নেই—এটা এখনো বিশ্বাস হয় না। তাঁর স্মৃতি আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে চিরকাল।”
অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়। পরে তাঁর কবর জিয়ারত ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ।