আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), আমতলী পৌর যুগ্ম আহবায়ক-জনাব মো: জাকির হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে “চাঁদা চাওয়া ও ঘর ভাংচুড়” গণমাধামে অপপ্রচার মিথ্যা, কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করে।
পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো:জাকির হোসেন লিখিত অভিযোগ পাঠ করে বলেন,আমার ও আমার ভাইদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ সম্মেলনের তিব্র নিন্দা জানাই।
তিনি আরোও অভিযোগ করে বলেন,আমতলী পৌরসভাধীন ২২৬নং খতিয়ানের জেএল নং ৩০, মোট জমি ৫-২৪ শতাংশ সম্পত্তি আসরুদ্দিন হাওলাদারের লোকান্তরে ওয়ারিশসূত্রে তিন ছেলে ১) হাজী জহিরুদ্দিন হাওলাদার ২) শামসুদ্দিন হাওলাদার ৩) জয়নুদ্দিন হাওলাদার যথাক্রমে উক্ত সম্পত্তি হতে ১-৬৬ শতাংশ জমি প্রত্যেকে ওয়ারিশসূত্রে মালিক বিদ্যমান আছি। জহের উদ্দিন হাজীর ১-৬৬ শতাংশ জমির অংশ হইতে ১৯৬৫ সনে ৮২-৫০ শতাংশ জমি আমার নিকট বিক্রয় করে। উক্ত জমি নিয়ে বরগুনা দেওয়ানী মামলা হয়। সেই মামলায় জেলা দায়রা জজ এবং হাইকোর্ট ও সুপ্রীমকোর্ট হইতে রায় পাই। আমি ও আমার বাবার ওয়ারিশসূত্রে ১০৪ শতাংশ জমির দলিল ও রেকর্ডসূত্রে মালিক। ১৯৬৯ সনে বিবাদীরা একটি ভূয়া নিলাম বেড় করে, সেই নিলামের কোন সত্যতা পাওয়া যায় নাই। এমতাবস্থায় আছরউদ্দিনের তিন ছেলে জমি-জমা ভাগ বন্টন নিয়ে একটি বাটওয়ারা মামলা দায়ের করেন (মামলা চলমান)। বাটাওয়ারা মামলায় একটি নিষেধাজ্ঞা জারী হয়। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামীলীগের দোষর ১। করিমুল হাসান ২। মো: আরিফুল ইসলাম জামাল ৩। আঃ ছালাম ৪। মো: আবুল কালাম ৫। মোঃ রাসেল ও ৬। মো: জহিরুল ভূয়া নিলামের কাগজ পত্র তৈরি করিয়া নিষেধাজ্ঞা জমির উপরে শনিবার দিবাগত রাতের আধারে উক্ত জমিতে বে-আইনী জনতাবদ্ধে অনধিকার প্রবেশ করিয়া একটি ঘর উত্তোলণ করে। সেই ঘরটি তারা নিজেরাই আবার ভেঙ্গে আমাদের উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বিএনপি নেতা আখ্যায়িত করে এবং বিএনপি’র মানক্ষুন্ন করে অপপ্রচার চালায়। প্রকাশ থাকে যে, উক্ত ঘটনার রাতে আমার শ্বশুড় মৃত্যুবরণ করায় আমি আমার শ্বশুড় এলাকায় ছিলাম। আমাদের বিবাদী করিমুল হাসান, ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়কালে শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকায় আমতলী টেম্পু স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি করে এবং মো: জামাল হোসেন, সেও টেম্পু স্ট্যান্ডে চাঁদা আদায় করেছে। উক্ত বিবাদী হাসানের বিরুদ্ধে তৎকালীন সময়ে একাধিক মামলা রয়েছে। মামলা নং ১৭/ আম জি.আর, ধারা ১৪৩/১৪৭/১৪৯/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩০৭/৪২৭/১১৪ও ১০৯ এবং আরো একটি মামলা ২৩/৮/২০২৪ দ্রুত বিচার আইনে ৪/৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও সে একটি ধর্ষন মামলার আসামি যাহা বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি চলমান। ৫ই আগষ্ট’২০২৫ বিএনপি’র অফিস ভাংচুড়ের মামলার আসামী মো: করিমুল হাসান ও জামাল, উক্ত মামলার বাদী আমি। আমার বড় ভাই ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোষর, সে কখনো সচিব, কখনো উপ-সচিব, কখনো ডি.আই.জি’র পরিচয় দিয়ে লুটতারাজ করিয়া বেড়াইছে এবং এহেন কার্যকলাপে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে; যাহা তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা মিলবে। ১৯৬৯ সালে তার পক্ষে নিলাম হওয়ায় কথা থাকলেও তার জন্ম ১৯৭১ সনে, এটা কিভাবে তার নামে নিলাম হয়, যাহা আমার বোধগম্য নহে। এহেন পরিস্থিতিতে আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট ভিত্তিহীন বটে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে বস্তুনিষ্ঠু সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধও জানান তিনি।