শাহাদাত হোসেন রুবেলঃ
বরিশালের বানারিপাড়া উপজেলায় পূর্ব বালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহমুদা আক্তারের বিরুদ্ধে কোচিং করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, মাহমুদা ম্যাডামের কাছে সন্তানদের কোচিং না করালে বা না পড়ালে ইচ্ছাকৃতভাবে পরীক্ষায় ফেল করানো হয় এবং প্রাইভেট না পড়লে বিদ্যালয়ে গিয়েও পাচ্ছেন না শিক্ষকের সুদৃষ্টি।
দেখা গেছে, বেশির ভাগ প্রাইভেট-কোচিং সেন্টারে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয় দুপুরের পরে অথবা সন্ধ্যায়। সারা দিন ক্লান্তির পরে কোমলমতি শিশুদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাইভেট-কোচিং সেন্টারে। ব্যাগভর্তি বই-খাতা নিয়ে এসব শিশু সারাক্ষণ শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতায় ভোগে। অনেক শিক্ষার্থীই এ চাপ সহ্য করতে না পেরে আক্রান্ত হচ্ছে নানা ধরনের মানসিক সমস্যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গতকাল রবিবার নিয়মিত পাঠদান শেষে অতিরিক্ত অর্থ লোভের আশায় প্রতিটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০/- (পাঁচ শত টাকা) র বিনিময়ে কোমলমতি শিশুদেরকে বসানো হয় জোড়পূর্বক কোচিং করাতে। এতে করে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের চেহারায় রয়েছে স্পষ্ট বিরক্তির ছাপ। যেন প্রতিটি শিক্ষার্থীই হয়ে ওঠে মাহমুদা ম্যাডামের টাকার পুতুল।
অথচ “কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা- ২০১২” স্পষ্ট বলে আছে, কোন সরকারি / বেসরকারি শিক্ষক গণ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট / কোচিং পড়াতে পারবে না।
এ ব্যাপারে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জনাব ছবি হালদার কে ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
অবাধে কোচিং বাণিজ্যের ব্যাপারে মাহমুদা আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি অতিরিক্ত ক্লাস নিচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের থেকে কোন টাকা নেওয়া হয়না। আমি তাদের পড়াশোনার প্রতি আন্তরিক এবং এই কোচিং এর ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা অবগত আছেন।
আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে বানারীপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার খগো পতি রায় কে উক্ত বিষয়ে মুঠোফোনে কল করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সাব ক্লাস্টার ট্রেইনারের মাধ্যমে তদন্ত করে দেখব।
যদি অভিযোগের সত্যতা পাই তাহলে শোকজ করে জেলা শিক্ষা অফিসার কে অবহিত করব এবং তার অনুমতিক্রমে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।