হায়দার হাওলাদার
আজ শনিবার (১২ রবিউল আউয়াল) সারা দেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মুসলিম উম্মাহর কাছে এ দিনটি অনন্য পবিত্র দিন হিসেবে বিবেচিত, কারণ এদিনে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত সংঘটিত হয়।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আবির্ভাবে বিশ্ব ইতিহাসে সত্য, ন্যায় ও মানবকল্যাণের নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। আবার একই তারিখে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে তিনি মদীনায় ইন্তেকাল করেন।
দিবসটি উপলক্ষে সরকারিভাবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দিনব্যাপী কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল, ওয়াজ ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। ইসলামী ফাউন্ডেশন ছাড়াও দেশের বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আলোচনাসভা ও দোয়ার আয়োজন চলছে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী প্রদান করেছেন। তাঁরা মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, বিশ্বশান্তি, মানবকল্যাণ এবং দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেছেন।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সব জেলা-উপজেলায় ধর্মীয় শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ শরীফ পাঠ ও দোয়ার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী মুসলিম সমাজে নবীর আদর্শ অনুসরণ ও বাস্তবায়নের শপথের দিন। মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শই বিশ্ব মানবতার মুক্তির পথপ্রদর্শক।