
মোঃ আল মুমিন সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টর, গাইবান্ধা
অধীনস্থ এক উপ পরিদর্শককে (এসআই) এসপি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে তার ব্যক্তিগত ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ অন্যায়ভাবে জব্দের অভিযোগে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার ও ওসির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে গাইবান্ধা সদর আমলী আদালতে ভুক্তভোগী এস আই মনিরুজ্জামানের স্ত্রী কাজলী খাতুন বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আসামিরা হলেন গাইবান্ধা পুলিশ সুপার (এসপি) নিশাত এ্যঞ্জেলা, গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার, লালমনিরহাট জেলার তারেকুজ্জামান তুমিন (২৩)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বাদীর স্বামী এসআই মনিরুজ্জামান তখন গাইবান্ধা সদর থানায় কর্মরত ছিলেন। মনিরুজ্জামানের আত্নীয় আসামি তারেকুজ্জামান তুহিন পারিবারিক শক্রতার জেরে এসআই মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা এসপি কার্যালয়ে একটি মৌখিক অভিযোগ দেন।
সেই অভিযোগে চলতি বছরের ২৫ মার্চ পুলিশ সুপার ও ওসি, এসআই মনিরুজ্জামানকে এসপি কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। মনিরুজ্জামান এসপি কার্যালয়ে প্রবেশ করা মাত্রই গাইবান্ধার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধ্রুব জ্যোর্তিময় গোপ মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে তার মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ১৩ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। পরে মোবাইল ও ল্যাপটপ যাচাই-বাচাই শেষে ডিভাইসগুলো সদর থানার ওসির কাছে জমা রাখে। এসময় বিষয়টি বাহিরে প্রকাশ করলে চাকরির ক্ষতি হবে বলে ভয় দেখানো হয় । ভাড়াটিয়া গুণ্ডা দিয়ে গুম করার হুমকি দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে উদ্দেশ্যমূলক ভাবে তাকে গাইবান্ধা থেকে রাজশাহী রেঞ্জে বদলি করা হয়।
পরে মনিরুজ্জামান উধ্বর্তন কতৃর্পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে মোবাইল ও ল্যাপটপ উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বিষয়টি তিনি তার পরিবারকে জানান। পরে অভিযুক্তদের ভয়ভীতি ও চাপে নিরুপায় হয়ে প্রাণ বাঁচাতে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদি পক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমলী আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।