1. info@www.dailybdcrimetimes.com : দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস.কম :
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
Title :
দুর্নীতি ও জালিয়াতির মামলায় জেল খাটার পরেও বহাল তবিয়তে শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম সাধু সন্যাসীর আড্ডাখানা তিনটি উপকারী মহোষৌধ গাজীপুরে আদালতের মামলা উপেক্ষা করে ই-নামজারির মাধ্যমে সরকারি জমি দখলের অভিযোগ দালাল বাদল এর বিরুদ্ধে জাতিগত অবক্ষয়ের চুড়ান্ত সময় পার করছি আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন, মেজর জেনারেল অবঃ শরিফ উদ্দিন এনটিআরসিএ এর অফিসের সামনে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছেন ১ম থেকে ১২ তম নিবন্ধন ধারীরা ঝিকরগাছায় মাদ্রাসায় না এসেও নিয়মিত ‘বেতন-ভাতা তুলছেন’ অধ্যক্ষ – (পর্ব -১) ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা ছাত্রদল নেতার হামলায় বাকপ্রতিবন্ধীসহ আহত ২ রংপুরে একই পরিবারের তিন জনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা গোবিন্দগঞ্জে স্ত্রী হত্যার ঘটনায় ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

দুর্নীতি ও জালিয়াতির মামলায় জেল খাটার পরেও বহাল তবিয়তে শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৮০ Time View

ইত্তিজা মনির বরগুনা প্রতিনিধি:

দুর্নীতি ওজালিয়াতির মামলায় জেল খাটার পরেও বহালতবিয়তে রয়েছেন আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ।

জানা গেছে, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভ করেন জাহাঙ্গীর আলম।এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য আবুল কালাম আজাদ বরগুনা বিশেষ জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন । আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীকে অনুসন্ধান করার জন্য আদেশ প্রদান করেন। দুদক তদন্ত শেষে জাহাঙ্গীর আলম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। আদালত তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন । আমতলী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম এর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। জেল খাটার পরে জামিন মুক্তি পান। আইন অনুযায়ী কোন শিক্ষক জেল হাজতে গেলে তার চাকুরি সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার কথা কিন্তু
আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) জাহাঙ্গীর আলম এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিনি স্বপদে কর্মরত রয়েছেন।

ওই শিক্ষক কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে এখন বাদিকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

হাজতবাসের কাগজপত্র হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রহস্যজনক দীর্ঘসূত্রতার আশ্রয় নিয়ে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছেন।

এ বিষয়ে আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম “মফিজ উদ্দিন বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম)। অত্র বিদ্যালয়ের ১ মে ২০০৬ তারিখের নিয়োগে তিনি দুর্নীতি ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ লাভ করেন। ২০০০ সালের জারিকৃত পরিপত্র/প্রজ্ঞাপনের আলোকে সহকারী শিক্ষকের যোগ্যতা এস এস সি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত কমপক্ষে দ্বিতীয় বিভাগ/ শ্রেণী থাকতে হবে। তৃতীয় বিভাগধারী প্রার্থীকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়া যাবে না এবং তিনি এম পি ও প্রাপ্তির জন্য বিবেচ্য হবে না।

জাহাঙ্গীর আলম ১৯৮২ সালে দাখিল পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ, ১৯৮৪ সালে আলীম পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ, ১৯৮৬ সালে ফাজিল পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ পেয়ে পাস করে। তিনি ১ মে ২০০৬ তারিখে অত্র বিদ্যালয়ে নিয়োগের পূর্বে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইনডেক্স নম্বরধারী শিক্ষক ছিল না এবং তার দাখিল ও আলীম পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ থাকার কারনে ৩১ আগষ্ট,২০০০ তারিখের প্রজ্ঞাপন জারীর পর হতে বর্তমান পর্যন্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য নয়।

জনাব জাহাঙ্গীর ১৫ আগষ্ট ১৯৯৩ তারিখ হতে ৩০ এপ্রিল ২০০৬ তারিখ পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলার দুমকি খানায় পাঙ্গাশিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় করনিক পদে চাকুরী করেছেন। সহকারী শিক্ষক এবং করনিক পদের কোড নম্বর এবং স্কেল এক নয়, করনিক তৃতীয় শ্রেনীর কর্মচারী এবং সহকারী শিক্ষক দ্বিতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তা, যার পদমর্যাদা এক নয় এবং একই প্যাটার্ন ভূক্ত নয়।বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে করনিক, শিক্ষক শ্রেনীর ভোটার হতে পারে না। তাই করনিক পদের ইনডেক্স নম্বর ব্যবহার করে জনাব জাহাঙ্গীর সহকারী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ লাভ করতে পারে না।

৩১ আগষ্ট ২০০০ তারিখ ও ২ এপ্রিল ২০০৩ তারিখের প্রজ্ঞাপন দুইটির মর্মানুসারে তার দু’টি তৃতীয় বিভাগ থাকার কারনে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ নিতে পারে না বুঝতে পেরে সু-কৌশলে পাঙ্গাশিয়া মাদ্রাসার এম পি ও ফটোকপিতে জাল-জালিয়াতি করিয়া করনিক পদ CT (Clark Cum Typist) কে সহকারী শিক্ষক MRT (Muslim Religious Teacher) বানিয়ে করনিকের ইনডেক্স নম্বরকে সহকারী শিক্ষকের ইনডেক্স নম্বর দেখিয়ে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পূর্বে ইনডেক্স নম্বরধারী শিক্ষক সাজাইয়া অত্র প্রতিষ্ঠানের তৎকালিন সভাপতিকে অবৈধভাবে লাভবান করে ১ মে ২০০৬ তারিখ মফিজ উদ্দিন বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অবৈধ ভাবে নিয়োগ লাভ করে অদ্য পর্যন্ত বলবৎ আছেন।

জনাব জাহাঙ্গীর অন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক হিসাবে চাকুরী না করে দুমকি থানাধীন পাঙ্গাশিয়া আলিম মাদ্রাসায় করনিক পদে চাকুরী করে অত্র বিদ্যালায়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ লাভের জন্য জাল-জালিয়াতি মূলক ভাবে তার উক্ত করনিক পদ CT (Clark Cum Typist) কে সহকারী শিক্ষক MRT (Muslim Religious Teacher) বানিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ১ মে ২০০৬ তারিখ বরগুনা জেলার আমতলী থানাধীন আমতলী পৌরসভাস্থ ০৬নং ওয়ার্ড এর মফিজ উদ্দিন বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে ব্যবহার করে সহকারী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাওয়ার জন্য জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে করনিক পদের অভিজ্ঞতাকে সহকারী শিক্ষকের অভিজ্ঞতা দেখিয়ে উচ্চতর বেতন স্কেলে বেতন ভাতা উত্তোলন করে প্রায় ৩০,৩,৩০০/-(ত্রিশ লক্ষ তিন হজার তিনশত) টাকা সরকারী অর্থ অবৈধ ভাবে ভোগ করে আত্মসাৎ করে।

এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, খুব শীঘ্রই অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য স্কুল শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম এর বিরুদ্ধে আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে ১২ নভেম্বর ২০২০ সালে বরগুনা বিজ্ঞ সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved