
বিশেষ প্রতিনিধি, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ রানা
জামালপুরে শহরের শাহাপুর মুন্সি পাড়া এলাকায়
একযুগ অতিবাহিতের দিকে লাইসেন্স বিহীন জনতা জেনারেল হাসপাতাল সাংবাদিকের সংবাদ এর বিষয়টা প্রকাশ পাওয়ার পরেও বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে প্রশাসনেরকে শান্ত রেখে তার অবৈধ হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছেন। লাইসেন্স বিহীন জনতা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপক (মুকুল)।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকরা সিভিল সার্জন অফিসে জনতা জেনারেলহাস পাতালের কাগজপত্রের বিষয়টা ৫% অনিশ্চয়তার মধ্যে থেকে যেতে পারে এমন টা-ই মনে করেন..
পরবর্তীতে সাংবাদিকরা সিভিল সার্জন অফিসে কাগজ পত্রের বিষয়টা নিশ্চিত করতে গেলে.. জনতা জেনারেল হাসপাতালের কোনো প্রকার কাগজপত্র খুঁজে পাওয়া যায় নি।
এক পর্যায়ে সিভিল সার্জন অফিসের কর্মরত এক ব্যক্তি কাছে জানতে চাইলে,নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, জনতা জেনারেল হাসপাতালের কোনো কাগজ করা হয়েছে বলে মনে হয় না।
জননী জেনারেল হাসপাতালে বিষয়ে একদিন আমাদের সিভিল সার্জন অফিসে এসে ছিলো মুকুল নামের এক ব্যক্তি,কাগজপত্র দেওরার কথা বলে গিয়ে ছিলো কিন্তু আমরা এখনো কোনো কাগজপত্র তার কাছ থেকে পাইনি অথবা অনলাইনেও আবেদন রয়েছে বলে আমার মনে হচ্ছে না।
তার পর তিনিই বলেন,সাংবাদিক ভাইরা,আমি আবারও কম্পিউটারে চেক করে দেখি। (মুুকুল) নামের ঐ ব্যক্তি জননী জেনারেল হাসপাতালের নামে আবেদন করার কথা বলে গিয়ে ছিলো আর আমাদের সিভিল সার্জন স্যারের সাথেও কথা হয়ে ছিলো মনে হয়। আমার সাথেও তার কথা হয়েছিলো,আমি একটু দেখি জননি জেনারেল হাসপাতাল নামে অনলাইনে কোনো আবেদন করেছেন,কি,না,তিনি।পরবর্তীতে তিনি বলেন,জননী জেনারেল হাসপাতাল নামেও তো আবেদন দেখছিনা।
একপর্যায়ে সিভিল সার্জন অফিসের কর্মরত ব্যক্তি জনতা জেনারেল হাসপাতালে ব্যবস্থাপক পরিচালক (মুকুল)কে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে মোঠো ফোনে বলেন,আপনি এইভাবে প্রতিষ্ঠান চালাতে পারেন না। সাংবাদিক ভাইরা,আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন। (মুকুল) নামের কোনো ব্যক্তি অনলাইনেও আবেদন করেন নি।
আচ্ছা এই (মুকুল)টাকে জানতে ইচ্ছে করছে? অবশ্যই বলবো একটু অপেক্ষা!
শুক্রবার বিকেলে সাহাপুর মুন্সি পাড়া এলাকায় আইন বহির্ভূত জনতা জেনারেল হাসপাতালের আরো কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে। সাংবাদিকরা ঠিক তখন ঐ এলাকার কিছু লোকজন সাংবাদিকদের কে দেখে কিছু জানার আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসেন এবং একপর্যায়ে বলেন,এখানে ফার্মাসিস কে, ডাক্তার বানিয়ে রোগীদেরকে সেবা প্রদান করেন। তারা আরো বলেন ব্যবস্থাপক মুকুলের নাকি স্বাস্থ্য মন্ত্রালয়ে বড় মাপের লোক রয়েছে,যে কারণে এলাকার লোকজন মুকুল এবং তার পরিবারের ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।
এলাকা বাসি বলেন,সাংবাদিক ভাইদের সাথে আজকে না দেখা হলে এ বিষয়ে আমাদের জানাই হতো না। আপনারা সত্য কিছু লিখবেন।
এটাই আপনাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা।
এ-ই ভুয়া হাসপাতাল দীর্ঘদিন যাবত পরিচালনা করে আসছেন (মুকুল) ও তার পরিবার। একদিনের জন্যও আমরা প্রশাসনের উপস্থিতি দেখতে পেলাম না। জামালপুর বাসি অবহেলিত রয়ে গেলো! সরকারি কেনো কাগজপত্র ছাড়া এতো বড় বড় অপারেশন করে কি ভাবে এরা কবে জানি কার মায়ের বুক খালি হয়ে যায়। বদনাম হবে শাহাপুর মুন্সি পাড়ার,এই বিষয়ে সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরন প্রতি সুদৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ঐ এলাকা বাসি।
জামালপুরের সিভিল সার্জন মোঃ আজিজুল হকের সাথে হঠাৎ দেখা হয়ে যাওয়াই সাংবাদিকরা বিষয় গুলো বলেন এবং একটি বক্তব্যঃ চাইলে,জবাবে তিনি বলেন,জামালপুর কোথাযও যদি এই ধরনের হাসপাতাল পরিচালনা করে এবং আপনারা জানেন তবে অবশ্যই জানিয়ে সহযোগিতা করবেন।
সাংবাদিকদের আরেকটি জবাবে তিনি আরো বলেন,আগামী রবিবারে মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার ও প্রতিশ্রুতি দেন।
এ বিষয়ে জামালপুরের সচেতন মহলের নাগরিকরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও জামালপুর জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।