
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর প্রদত্ত নির্বাচিত কৃষকের তালিকা প্রকাশ ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ছাড়াই তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিপুল পরিমাণ ধান মজুদ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সরেজমিন দেখা যায়,নসিমন বোঝাই ধান উপজেলা খাদ্য গুদামে প্রবেশ করছে।গাড়ি ঢোকার পরপরই প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দ্রুততার সঙ্গে ধান নামানোর দৃশ্য দেখা যায়।
সাংবাদিকদের উপস্থিতি বুঝতে পেরে আরও কয়েকটি ধানবোঝাই নসিমন গাড়ি ফিরে যায়।
খাদ্য পরিদর্শক আশিকুর রহমান মোল্যা জানান,একজন পরিচিত কৃষকের২ টন ধান ছিল,তিনি নিতে বলেছেন,তাই নিয়েছি।তালিকা প্রকাশের আগেই ঐ কৃষকের নাম নির্বাচিত তালিকায় কিভাবে নিশ্চিত হলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,তালিকায় না থাকলে ধান ফেরত দেব।তবে তালিকা ও উদ্বোধনের আগেই
ব্যক্তিগত ধান গুদামে মজুদের বৈধতা বিষয়ে তিনি কোন সুনির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারেননি।স্থানীয় কৃষক ও পরিবহন শ্রমিকরা জানান,এ ধরনের অনিয়ম নতুন নয়,রাতের আধারে দালালদের মাধ্যমে ধান মজুদ করা হয়,এতে প্রকৃত কৃষকরা মুল্য থেকে বঞ্চিত হন।উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা নিয়াজ মাহমুদ বলেন, আমন ধান সংগ্রহ এখনও উদ্বোধন করা হয়নি।কৃষকের তালিকাও পাওয়া যায় নি।তালিকা পাওয়ার পরপরই সংগ্রহ শুরু হবে।তালিকার আগেই ধান মজুদের বিষয়ে তিনি বলেন, যদি করে থাকেন এটি বেআইনি।
এছাড়াও, আশিকুর রহমান মোল্যা’র বিরুদ্ধে ও এম এস ডিলারদের বরাদ্দকৃত আটা ও চাল নেয়ার সময় টোকেন মানির নামে বেআইনিভাবে টাকা নেয়ার অভিযোগ আছে।এবং বস্তা কেটে বস্তারভেতর থেকে চাল -আটা রাখার অভিযোগ ও তার বিরুদ্ধে আছে।