
জুলহাস আহমেদ, বরগুনা:
বরগুনায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্রকরে একজন বাক প্রতিবন্ধীসহ দুইজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের ছেলে ছাত্র দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের অশোক হাওলা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
জখম হওয়া বাক প্রতিবন্ধীর নাম বেলাল হোসেন (২৬), তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। জখম হওয়া অপরজনের নাম ইব্রাহিম (২৭), তিনি একই ইউনিয়নের চালিতাতলা গ্রামের লতিফ মিয়ার ছেলে। অভিযুক্তের নাম লিমন (২৫), সে বুড়িরচর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য আয়েশা সিদ্দিকা ডলির ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, রাত ৯ টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের অশোক হাওলা গ্রামের হুমায়ূনের দোকানের সামনে ক্যারাম খেলছিলো বেলাল। এসময় ঘটনাস্থলে লিমন আসলে বাক প্রতিবন্ধী বেলালের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে লিমন ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানে কেচি দিয়ে বেলাল কে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় স্থানীয় ইব্রাহিম নামে এক যুবক বাধা দিলে তাকেও পিটিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলাল ছোটবেলায় বাবা হারান। মা গৃহপরিচারিকার কাজ করেন। বেলাল সহজ-সরল, বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় এলাকার সকলেই তাকে স্নেহ করতো। গত রাতে ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে লিমনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে কেচি দিয়ে কোপাতে থাকে বেলালকে। স্থানীয়রা বাঁধা দিলেও তাদের কথা শোনেনি লিমন।
তারা আরও জানান, এঘনটার পর ইউপি সদস্যের অভিযুক্ত ছেলে নিজেদের গায়ে নিজেরা আঘাত করে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই ছেলে এলাকার মধ্যে সন্ত্রাস করে। আমরা এ ঘটনার সঠিক বিচারের দাবি জানাই।
স্থানীয় ছগীর মৃধা নামে একজন প্রত্যাক্ষদর্শী জানায়, দুই পক্ষের কথা কাটাকাটির সময় আমি ঘটনাস্থল দিয়ে যাচ্ছিলাম। তখন আমি দুই পক্ষকেই থামতে বলি। কিন্তু লিমন আমার কথা না শুনে বেলালকে কেচি দিয়ে কোপাতে থাকে। এসময় ওদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিলো।
অভিযুক্ত লিমনের মা ইউপি সদস্য আয়েশা সিদ্দিকা ডলি বলেন, আমি বাড়িতে ছিলাম না তাই কিছু জানিনা এবিষয়ে।
এবিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, খবর পেয়ে বরগুনা থানা পুলিশের একটা টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।