সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেট থেকে সংবাদ প্রতিনিধি নিশ্চিত করেন যে, বীর মুক্তি যোদ্ধা মোঃমহিবুর রহমান-৭০(অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশুলী) সাং-শাপলাবাগ, টিলাগড়, ২৪নং সিটি ওয়ার্ড, মহানগর সিলেটের বাসিন্দা গত ৩০শে জানুয়ারী ২০১৯ইং কারাগারে বন্দি অবস্থায় হার্ট
অ্যাটাক করে মৃত্যুর নির্মম সংবাদ জানা যায়। প্রতিনিধি কারা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগে জানতে পারেন যে-আসামী বয়স্ক প্রবীন ব্যক্তি বার্ধক্য জনিত বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন এবং তিনি সর্বদা কারাগার হাসপাতালে নিবির পর্যবেক্ষনে ছিলেন। উক্ত বিকালে তিনি গুরুতর অসুস্থ্য বোধ করলে কারা ডাক্তার তাহার শারীরিক পরিক্ষার মাধ্যমে হার্ট অ্যাটাকের বিষয় নিশ্চিত হয়ে তাৎক্ষনিক উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমানি মেডিক্যালে প্রেরন করেন কিন্তু জরুরী বিভাগে উপস্থাপন করলে ডিউটি ডক্টর তাহাকে মৃত ঘোষনা করেন। এই নির্মম মৃত্যুর ঘটনাটি পরিবার ও স্থানিয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম শোকের ছায়া ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি ঘটায়। বিধায় সংবাদ প্রতিনিধি এলাকাবাসীদের জিজ্ঞাসা বাদে জানতে পারেন যে-মৃত ভিকটিম এলাকায় অত্যন্ত সম্মানীত আদর্শবান সৎ নীতিবান ব্যক্তি হিসাবে সুপরিচিত এবং তাহারা দাবি করেন যে- রাজনৈতীক প্রতিহিংসার কারনে পুলিশ বাহিনী মিথ্যা মামলায় বেআইনি গ্রেফতার ও হাজতে নির্যাতন চালিয়ে হত্যারপর ঘটনাটিকে হার্ট অ্যাটাক হিসাবে অপপ্রচারনা চালাচ্ছে। প্রতিনিধি শোকার্ত পরিবারের মাধ্যমে আরো নিশ্চিত হয় যে-মুক্তি যোদ্ধা মোঃমহিবুর রহমান বিএনপির সমর্থক এবং গত ৩০/১২/১৮ইং ১১তম সংবিধান পরিপন্থী বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনের ভোট দিতে না পাড়ায় তিনি সরকার ও আইন প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদী সমালোচনা করেন। যাহারপর প্রতিপক্ষ স্থানিয় আওয়ামী নেতাকর্মি ও আইন প্রশাসন তাহাকে ষড়যন্ত্র মূলক রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় জড়িয়ে গত ৩রা জানুয়ারী ২০১৯ইং রাতে গ্রেফতার ও হাজতে বন্দিরপর অমানবীক নির্যাতনের কারনে তাহার মৃত্যু ঘটানো হয়েছে বলে দাবীকরে। ভিকটিম পরিবার এই মৃত্যুর সঠিক কারন উৎঘাটনের জন্য আইন সংস্থাকে চাপ সৃষ্টি করলে কর্তৃপক্ষ দায়বদ্ধতা এড়াতে নিজেদের বিশেষ নজরদারীতে ওসমানি মেডিক্যালে ভিকটিমের ময়না তদন্ত সম্পাদন করানো হয় এবং অদ্য সন্ধায় দাফন কাফন সম্পাদন করার প্রস্তুতি চলমান। কিন্তু ভিকটিমের পরিবার ও স্থানিয় বাসিন্দা দাবী করেন যে-এই ময়না তদন্তর রিপোর্ট আইন প্রশাসনের অনৈতীক প্রভাবে সম্পূর্ণ নাটক সাজানো হার্ট অ্যাটাক হিসাবে তৈরী করেছে। তাহারা আরো দাবী করেন-লাশের গোসল, কাফন পড়ানোর কার্যক্রম সম্পূর্ণ পুলিশের নজরদারীতে সম্পাদন হয়েছে এবং পুলিশ কোনভাবে ভিকটিমের চেহারা কাউকে এখনো দেখতে দিচ্ছেনা এমনকি ছবি তুলতেও বাধা দিচ্ছে। ফলে পরিবার সদস্য ও এলাকাবাসী আইন প্রশানের এইরুপ অনৈতীক কার্যকলাপের উপর প্রতিবাদ জানালে পুলিশ ফোর্স তাহাদের ভয়ভীতিকর হুমকি ধামকি পরিস্থিতির সম্মুখীন করছেন বলে অবগত করেন।