নিজস্ব প্রতিবেদক:
বুধবার ৪ঠা আগষ্ট ২০২২ইং সন্ধা আনুমানিক ৬.৩০/ ৭.০০ ঘটিকায় আড়িয়ালখা বিলে রাস্তা সংলগ্ন জলাসয় কচুড়িপানার মধ্যে স্থানিয় বাসিন্দারা এক ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত মৃত দেহ দেখতে পায় এবং আইন প্রশাসনকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার ও ভিকটিমের পরিচয় শনাক্ত করে দ্রুত ময়না তদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেন। এই প্রসংগে আইন প্রশাসনের লোকজন থানার নথী ও উপস্থিত স্থানিয় জনগনের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিচয় নিশ্চিত করেন যে-মৃত ব্যক্তির নাম রবিউল আওয়াল বয়স আনুমানিক ৪৫ বৎসর, পেশাগত জমিজমা ব্যবসায়ি এবং কোলাপাড়া ইউনিয়ন অর্ন্তভুক্ত সমেষপুর গ্রামের মৃত কাইউম খানের পুত্র ও ইউনিয়ন যুবলীগের প্রাক্তন নেতা। ফলে পরিবারের সদস্যদের সাথে যোগাযোগে আরো জানা যায় যে-ভিকটিম প্রতিদিনের মত গত ৩রা আগষ্ট স্থানিয় দোগাচী বাজারে ব্যবসার কাজে ব্যস্ত ছিলেন এবং সেই রাতে তিনি বাড়ী ফিরে না আসার কারনে পরিবার চিন্তা গ্রস্থহয়ে গতকাল ভোরে শ্রীনগর থানায় সাধারন ডায়েরী রেকর্ড করেন। অতঃপর গত সন্ধায় ভিকটিমের মড়দেহ আইন সংস্থা আড়িয়ালখা বিল থেকে জব্দ করতে সক্ষম হয় এবং পরিবারকে বিষয়টি অবহিত ও সকলের উপস্থিতির মাধ্যমে ভিকটিমের সঠিক পরিচয় চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। এই নির্মম হত্যা প্রসঙ্গে ভিকটিমের প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে-নিখোজ হওযার রাতে ভিকটিম রবিউল গ্রুপের সাথে দোগাচী বাজারে স্থানিয় যুবলীগ নেতা মুজাম্মেল শিকদারের ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার ও চাদাঁবাজীর টাকা ভাগ- বাটোয়ারা নিয়ে উত্তেজনাকর তর্কাতর্কি থেকে ভয়াবহ সংর্ঘষ সৃষ্টি হলে তাৎক্ষনিক স্থানিয় আওয়ামী নেতাদের মধ্যস্থতায় সাময়িক ভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করাহয় কিন্তু উভয়ের মধ্যে চরম ক্রোধ ও অক্রস বিদ্যমান ছিল। বিধায় ধারনা করা যাচ্ছে যে-প্রতিপক্ষ মুজাম্মেল গ্রুপ শত্রুতার বশভুত হয়ে সেই রাতে তাহাকে বাজার থেকে অপহৃরন ও আড়িয়ালখা বিলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর কচুড়িপনার মধ্যে লাশ ডুবিয়ে রাখে। এই বিষয় ভিকটিম রবিউলের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনদের জিজ্ঞাসা বাদে জানাযায় যে-ভিকটিমের ছোট চাচা মৃত আবুল কাসেম খানের পরিবারের সাথে ব্যবসা ও পৈতৃক সম্পত্তি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের ক্রন্দল থেকে এই হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছে বলে দাবী করেন। ভিকটিমের স্ত্রী সুমাইয়া নিশ্চিত হয়ে আরো দাবী করে-ভিকটিম রবিউলের প্রাক্তন ব্যবসা পার্টনার এই হত্যার মূখ্য অপরাধী সৌদি প্রবাসী বর্তমানে দেশে অবস্থানরত চাচাতো ভাই মোঃ সুজন পূর্বের শত্রুতার প্রতিশোধ পড়ায়ন হয়ে ভাড়াটিয়া গুন্ডাদের দ্বারা সুপরিকল্পীত উক্ত রাতে বাজারে সংর্ঘষ সৃষ্টির মাধ্যমে হত্যাকান্ড চালায়। ফলে তিনি সন্দেহাতীত স্বামীর বিরোধী পক্ষের কিছু লোকজনের নাম উল্লেখ পূর্বক থানায় মামলা দায়ের করেন যাহাদের মধ্যে প্রধান আসামী ১। মোঃ সুজন পিং-আবুল কাসেম খান, ২।নজু মিয়া পিং-আজাদ মিয়া, ৩। মুজাম্মেল শিকদার, পিং-মুস্তাক শিকদার, ৪। অসিম দেওয়ান, পিং- সামাদ দেওয়ান, ৫। ইমরান হাওলাদার, পিং-মৃত সুলতান হাওলাদার, ৬। মাজিদ খান, পিং-মৃত দাউদ খান, ৭। মোঃ তোফায়েল, পিং-হাজী সুরুজ মিয়া, ৮। নাইম শেখ, পিং-দিলদার শেখ, ৯। শাহজাহান বেপাড়ী, পিং-আক্কাস বেপাড়ী ১০। দুলাল দাস, পিং-কিষান দাস, ১১। প্রদ্বীপ মন্ডল, পিং-মৃত রবি মন্ডল, ১২। সুজন চাকলাদার, পিং-মুজিব চাকলাদার ১৩। আতিক মিয়া, পিং-বরকত উল্লাহ, ১৪। মিজান দেওয়ান, পিং-হাতেম দেওয়ান, ১৫। মোঃ জুলফিকার পিং- হাজী মুকছেদ মিয়া, ১৬। লুতফর হোসেন, পিং-আইউব হোসেন, ১৭।আশিক মোল্লা, পিং-হাজী বারেক মোল্লাগং সকলে কোলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ অর্ন্তভুক্ত বিভিন্ন গ্রামের স্থায়ি বাসিন্দা হিসাবে মামলায় অর্ন্তভুক্ত। প্রতিনিধি এই হত্যার বিষয় এলাকাবাসির মতামত ও প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বেশীরভাগ লোকজন ভিকটিম রবিউলকে ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী আক্ষায়িত করেন এবং অনেক পরিবার তাহার দ্বারা নির্মম নির্যাতীত হওয়ার বিষয় দাবী করেন। শ্রীনগর থানায় সুক্ষ অনুসন্ধানে প্রতিনিধি জানতে পারেন যে-মৃত রবিউল প্রকৃত পক্ষে রাজনৈতীক দলীয় ক্ষমতার জোরে সীমাহিন অপরাধের খলনায়েক চিহ্নিত এবং সরকারী খাস জমিজমাসহ সাধারন জনগনের ভুমি সম্পত্তি জালিয়াতীর মাধ্যমে জোরদখল বেচা কেনা ইত্যাদি গুরুতর অপরাধে জড়িত আসামী। অতঃপর আইন প্রশাসন এই হত্যার সাথে স্থানিয় ক্ষতিগ্রস্থ্য বিশেষ কিছু জনগনকে প্রাথমিক ভাবে সম্পৃত্বতা/জড়িত থাকার বিষয় ধারনা পোষন করছেন। থানার ও/সি মহদয় দাবী করছেন দ্রুত তদন্তর মাধ্যমে ঘটনার বাস্তবতা উৎঘাটন করতে সচেষ্ট আছেন এবং সকল আসামীকে গ্রেফতার ও আইনের আওতায় উপস্থিত করতে সক্ষম হবেন।