এম জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী:
পটুয়াখালী বাউফলে মরণ ফাঁদ নামক সেবা ক্লিনিকের পর এবার ভুল চিকিৎসার কারণে লীমা বেগম (১৬) নামের এক প্রসূতির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কাশিশুরী বন্দর বাজারে অবস্থিত মাজেদা ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ, চিকিৎসক ও নার্সরা পলাতক রয়েছেন বলে জানা গেছে।
মৃতের মা আমেনা বেগম জানান, শনিবার তার মেয়েকে নিয়ে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশ্যে কালিশুরী বাজারের মাজেদা ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। ডাক্তার পরীক্ষা শেষে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি দেন। রোগীর মা তার মেয়েকে ভর্তি রেখে নিজ বাড়িতে যান জামা-কাপড় আনতে। ফিরে এসে দেখেন তার মেয়ে অপারেশন থিয়েটারে। কিছুক্ষণ পর কর্তৃপক্ষ তাকে জানান লীমাকে বরিশাল পাঠাতে হবে। ক্লিনিকের লোকজনই অ্যাম্বুলেন্স ঠিক করে মৃত অবস্থা রোগীসহ তার স্বজনদের উঠিয়ে দেন। সেখান থেকে মাত্র ২০ মিনিটে রাস্তা পাড় হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই ডাক্তার, নার্সসহ মালিক পক্ষের লোকজন পলাতক রয়েছেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এব্যাপারে জানতে মাজেদা ক্লিনিক মালিক শাহাবুদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চিকিৎসক সোয়েব মাহমুদ জানান, রোগী অনেক আগেই মারা গেছে। ওখান থেকে মৃত্যু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি আরিচুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের পর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মাজেদা ক্লিনিকের সঠিক কাগজপত্র আছে কিনা সহ টোটাল রহস্য উদঘাটনে অনুসন্ধান রিপোর্টার শেখ এম জাফরান হারুন এর অনুসন্ধান চলছে।