পাশের বাড়িতে বিশ্বের বড় অর্থনীতির দেশ গুলোর মহামিলন(জি-২০ সম্মেলন)। দাওয়াত পেলেন শেখ হাসিনা। অতিথি হলেন। দুনিয়ার ক্ষমতাধর সব দেশের তাবড়-তাবড় নেতা -রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার প্রধান। কি পেলাম আমরা! রাজনীতির মঞ্চে রাজনৈতিক কূটনীতি অর্থনীতির বাইরেও সফলতার গল্প থাকে। এটি সেই অণুগল্প। প্রাপ্তির খাতায় অনেক কিছুর অনুঘটক বললে অত্যুক্তি হবেনা। বড় দুনিয়ার মহান আসরে জাতি হিসেবে বাঙ্গালির মর্যাদার নিশানা অনেকটাই উঁচুতায় পৌঁছেছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্যই বাংলাদেশের মানুষের কাছে সাধুবাদ পাবার হকদার। জি-২০ তে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে হাসিনার উপস্হিতি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে মার্কিন নীতির হয়তো বিশেষ কোন পরিবর্তন আনবেনা। কিন্তু বাংলাদেশের মতো একট ক্ষুদ্র অধনী দেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বাইডেন সাহেবের দৃশ্যমান অকৃত্রিম হাস্যজ্জল সৌজন্যতা ভদ্রতা আমাদের মুগ্ধ করেছে, সন্মানিত করেছে। সবার কাছেই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সমীহ পেয়েছেন। নিন্দুকের কথায় হোক সেটা নিপাট ভদ্রলোকদের নিরেট সৌজন্যতা, তবে সত্যিই আমাদের জন্য, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য এ এক বিরল সম্মাননা। এ গল্পে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কথা আলাদা করে বলতেই হবে। এইতো সেদিনও যে বৃটিশ সাম্রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন আমাদের দন্ডমুন্ডের কর্তা। অথচ! কী চমৎকার, কী অভাবনীয় আচরণ – নন্দিত শিষ্টাচার। একজন মাতৃসম মানুষকে, একজন বয়োজ্যেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীকে অন্তরের শ্রদ্ধা জানাতে, ভক্তি প্রকাশে কতটা বিনয়ী হলে, বনেদি হলে বৃটিশ – ভারতীয় শিষ্টাচারের এমন নান্দনিক প্রকাশ হতে পারে। দুজন দাঁড়িয়ে কথা বললে ঋজু বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীকে খানিকটা নিচু হয়ে কিংবা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে একটু হলেও ওপরে তাকিয়ে কথা বলতে হত। সুনাকের কাছে এটা শিষ্ট মনে হয়নি। তাইতো তিনি বয়োজ্যেষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীর পাশে অক্লেশে হাঁটুভেঙ্গে বসেছেন। পরিশীলিত শিষ্টাচারের এমন আদর্শ প্রকাশ কেবল বোধ হয় ইংরেজের প্রধানমন্ত্রীর কাছেই সম্ভব। আমাদের রাজনীতির পাঠে কবে এ চর্চা শুরু হবে, কেউ জানেনা। জয়তু শেখ হাসিনা।
আহসানুল করিম লাছু,
সাংস্কৃতিক সম্পাদক,
জেলা আওয়ামী লীগ,গাইবান্ধা।