তোফায়েল আহমেদ, ধামরাই উপজেলা প্রতিনিধি
জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী, স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামাত এর আগুন-সন্ত্রাস, পুলিশ-সাংবাদিকদের উপর নগ্ন হামলা, নৈরাজ্য ও অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে ৬ নভেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ে মিছিল ও শান্তি সমাবেশ এর আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২০ ধামরাই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আল জামান (সি.আই.পি.), ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আমেনা-নূর ফাউন্ডেশন ও কো-চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ-ভারত সম্প্রতি পরিষদ। অনুষ্ঠানে আরোও উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোঃ মোহাদ্দেস হোসেন চেয়ারম্যান, ধামরাই উপজেলা পরিষদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক, ধামরাই উপজেলা আওয়ামীলীগ।
পৌর যুবলীগের সভাপতি জনাব আমিনুর রহমান, পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য জনাব মোঃ সানাউল হক সুজন, মোটর চালক ইউনিয়নের সভাপতি, দলীয় নেতা কর্মী, ও গণমাধ্যমকর্মী প্রমূখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান হাবিব।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আল জামান বলেন, আমরা কাজ করে যাচ্ছি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য, আমরা রাস্তায় আছি শেখ হাসিনার জন্য, আমরা রাস্তায় আছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শের সৈনিক হয়ে আমরা লড়ে যাব যে পযর্ন্ত জামাত বিএনপির সন্ত্রাসী কাযর্ক্রম বন্ধ না হবে । তিনি বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে দেশের উন্নয়ন একটি রোল মডেল এ পরিনত হচ্ছে তখন এই জামাত বিএনপি রাস্তার যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে, পুলিশ-সাংবাদিক সহ সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন করে তারা এই দেশকে সন্ত্রাসের রাজ্য কায়েম করার চেষ্টা করছে। তারা বিদেশিদের উপর নির্ভরশীল, তাদের যদি জনগনের সমর্থন থাকত তাহলে বিদেশিদের উপর তারা কোন আস্থা রাখতেন না । তারা মনে করে আমেরিকা তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে। যারা আজ মুসলমানদের উপর অত্যাচার করতেছে, বিনা বিচারে যারা ফিলিস্তিন ভাই -বোনদের মারতেছে সেই আমেরিকানদের পিছনে তারা ঘুরতেছে। আমরা কাজ করে যাব সামনে নির্বাচন যাতে সুষ্ঠভাবে হয় এবং বিপুল ভোটে আমরা যেন শেখ হাসিনাকে অর্থ্যাৎ আওয়ামীলীগকে জয়যুক্ত করতে পারি।
তিনি বলেন নমিনেশন কাকে দিবে সেটা বড় বিষয় নয়। আমাকে যদি নমিনেশন দেয়া হয় তাহলে, এই ধামরাইকে সন্ত্রাস মুক্ত করতে, ধামরাই থানার মানুষদের সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করতে, শিক্ষার প্রসার, সামাজিক উন্নয়ন এবং মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে যাব ইনশা-আল্লাহ। আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করে এদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখব। জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে আছে ততদিন বার বার আমাদের শেখ হাসিনাকেই দরকার। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে যখন জামাত-বিএনপি নৈরাজ্য, সন্ত্রাস, অগ্নীসংযোগ করেছিল তখনও আমরা দিনে–রাতে পাহাড়া দিয়েছি।
এখনো যতদিন অবরোধ চলবে ততদিন আমরা পাহাড়া দিয়ে যাব।
এর আগে দুপুরের দিকে ধামরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও শান্ত মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মদ জাকারিয়া দিপু বিএনপির ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধে গাড়ি নিয়ে বের হওয়া ধামরাই উপজেলার কালামপুর বাস স্ট্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তিন শতাধিক গাড়িচালক ও হেলপারদের মাঝে খাবার প্যাকেট ও ফুল বিতরণ করে চালকদের হরতাল, অবরোধ উপেক্ষা করে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানান। মোহাম্মদ জাকারিয়া দিপু জানান, রবিবার সকাল থেকে কালামপুর বাজার স্টেশন,বাস ষ্টেশন সহ বিভিন্ন যায়গায় সিএনজি ও গাড়ি চালকদের রাস্তায় নামতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। টানা দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচির আজকেই শেষ দিন। এ সময়ে কুশুরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদ, নবযুগ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কৌশিক, কুশুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মনির, বাবু, মিন্টু, তাহের, হাফেজ, মোহাইমিন সহ দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।