1. info@www.dailybdcrimetimes.com : দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস.কম :
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
Title :
আপনি কেমন প্রশাসনিক কর্মকর্তা? মানুষ বিপদে পড়লেও দরজা খুলেন না- ইউএনও’র উদ্দেশ্যে এমপি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পানি পেয়ে খুশি তিস্তা সেচ প্রকল্পের চাষিরা পোরশা নিতপুরে কৃষক দলের সমাবেশ পীরগঞ্জে যাত্রাগানের শিল্পী ঝিনুকের খন্ডিত মাথা উদ্ধার! বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো লিজেন্ডারি ব্যাচ ৯/১১ ( আই টি এফ এল) গ্রুপের পঞ্চম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ঢাকা রেলভবনে আনসার আলী -শিরিনের প্রেম কাহিনি টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতা ফরহাদ ইকবালের শীত বস্ত্র বিতরণ দশমিনায় অটোচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার আরডিআরএস বাংলাদেশ, গাইবান্ধা শাখার আয়োজনে জেলা প্রশাসক কতৃক প্রসূতি মায়েদের চেক বিতরন দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধা বনাম সরকারের দরকার উদার মানবিকতা। আমার দাবি সাত দফা

পরকীয়া প্রেমিকের প্রাণ নিলো প্রেমিকা আখিঁ, রহস্য উন্মোচন

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৭০ Time View

হৃদয় সিকদার,নিজস্ব প্রতিবেদন:

পরকিয়া সম্পর্কের জেরে খুন হওয়া চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস রুমান শিকদার (৩৯) হত্যা কান্ডের রহস্য উন্মোচন সহ ঘটনার সাথে জড়িত আসামী ১) আখি আক্তার (২৪) এবং ২) মোঃ আলাল মোল্লা (৩৫) দ্বয়কে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ঢাকা জেলা। গত ২২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার বাঘাশুর পশ্চিম পাড়া গ্রামে আসামীদ্বয়ের নিজ বসত বাড়ী থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত রুমান শিকদার ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার বাঘাশুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের জনৈক আবু সিকদার এর ছেলে। আজ ২৯ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখে সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন পিবিআই ঢাকা জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার জনাব মোঃ কুদরত—ই—খুদা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জনাব আবু ইউসুফ, পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স, পিবিআই ঢাকা জেলার পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোঃ রাশিদুল ইসলাম এবং এসআই (নিঃ) মোঃ আনোয়ার হোসেন।

গত ২১ মে ২০২৩ তারিখ দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানা এলাকায় সিংহ নদীতে ভেকু দিয়ে সরকারী নদী খনন কালে বাঘাশুর সাকিনস্থ পশিচমপাড়া ডাইঘাট মিন্টু আহম্মেদ এর বাড়ীর সামনের নদীতে কাদা মাটির সাথে একজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কঙ্কাল উঠে আসলে ভেকু চালক এলাকার লোকজনকে জানালে লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল করলে দক্ষিন কেরাণীগঞ্জ থানা পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়। উক্ত কঙ্কালের সাথে একটি অস্পষ্ট নেভীব্লু রংয়ের শার্টের অংশ বিশেষ যুক্ত ছিল। সংবাদ পেয়ে অত্র মামলার ডিসিস্ট রুমান শিকদারের মা—বাবা, স্ত্রী, সন্তানরাও সেখানে আসেন এবং উক্ত কঙ্কালটি দেখেন। উক্ত কঙ্কালের পাশে পড়ে থাকা নেভি ব্লু রংয়ের শার্টের অংশবিশেষ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারনা করেন উক্ত কঙ্কালটি রুমান সিকদারের হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পরবর্তীতে উক্ত এসআই (নিঃ) মাইদুল ইসলাম কঙ্কালের সুরতহাল প্রস্তুত করেন এবং ডিএনএ প্রোফাইলিং এর জন্য কঙ্কালটি বিভাগীয় প্রধান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল, ঢাকায় প্রেরন করেন। উক্ত ঘটনায় এসআই মাইদুল ইসলাম নিজেই বাদী হয়ে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার মামলা নং—৯৮, তারিখ—২২/০৫/২০২৩ ইং, ধারা—৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন। থানা পুলিশ ৫ মাস তদন্ত করে পরবর্তীতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর আদেশে গত ২২/০৮/২০২৩ ইং তারিখ পিবিআই ঢাকা জেলা মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে।

পিবিআই প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি জনাব বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে এবং পিবিআই ঢাকা জেলার ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার জনাব মোঃ কুদরত—ই—খুদা এর সার্বিক সহযোগিতায় তদন্তভার গ্রহণ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) মোঃ রাশিদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) মোঃ শরীফুল ইসলাম, এসআই মোঃ সালেহ ইমরান বিপিএম—সেবা, এসআই আনোয়ার হোসেন, এসআই মানিক চন্দ্র সাহা সহ পিবিআই ঢাকার একটি চৌকষ টীম হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামেন। তদন্তকালে জানা যায়, অত্র মামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামী আখি আক্তার এর স্বামী ওমর ফারুক কর্মসূত্রে বিদেশ থাকাবস্থায় তিনি তার প্রতিবেশী রুমান শিকদারের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেন। আখি আক্তারের স্বামী বিদেশ থাকাবস্থায় স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমের বিষয়টি জানতে পেরে দেশে চলে আসেন এবং আখি আক্তারের সাথে তার স্বামী ওমর ফারুক ঘর—সংসার করবে না বলে আখি আক্তারকে বাড়ী হতে বের করে দেন। পরবর্তীতে আখি আক্তারের আত্মীয়—স্বজন ও তার স্বামী ওমর ফারুকের আত্মীয়—স্বজনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা করে পূণরায় আখি আক্তার ও তার স্বামী ওমর ফারুক যথারীতি দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই আখি আক্তার আবারও মামলার নিহত রুমান শিকদারের সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পরেন।

২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ডিসিস্ট রুমান শিকদারের হাত ধরে আখি আক্তার পালিয়ে অজ্ঞাত স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে ৬/৭ দিন বসবাস করেন। অনেক খোঁজাখুজির পর আখি আক্তারের স্বামী ওমর ফারুক তার স্ত্রী আখি আক্তার এবং তার প্রেমিক ডিসিস্ট রুমান শিকদারের সন্ধান পেয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আত্মীয়—স্বজনদের নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে তার প্রেমিক ডিসিস্ট রুমান শিকদারের নিকট থেকে আখি আক্তারকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে স্থানীয় উপস্থিত লোকজন ডিসিস্ট রুমান শিকদারকে তার প্রেমিকা আসামী আখি আক্তারকে বিবাহ করার জন্য চাপ দিলে নিহত রুমান শিকদার তার প্রেমিকা আখি আক্তারকে বিবাহ করতে অস্বীকার করেন। যার ফলে আখি আক্তার তার সমস্ত অন্যায় অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য স্বামী ফারুকের নিকট ক্ষমা চান। তার সংসারে ফিরে যাবেন মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। অতঃপর আসামী আখি আক্তার ও তার স্বামী ওমর ফারুক দুইজন মিলে রুমান শিকদারকে তাদের সম্পর্ক এবং একসাথে ৬/৭ দিন বাসা ভাড়া করে থাকার বিষয়টি গোপন রাখতে অনুরোধ করেন কিন্তু নিহত রুমান শিকদার তাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে উক্ত বিষয়টি এলাকায় এসে অনেক লোকজনের নিকট প্রকাশ করে দেন। ফলে আসামী আখি আক্তার তার প্রেমিক রুমান শিকদারের উপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হন। তিনি রুমান শিকদারকে দুনিয়া হতে চিরতরে বিদায় করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক ডিসিস্ট রুমান শিকদারকে গত ২২/০৩/২০২৩ ইং তারিখ দিবাগত রাত অনুমান ১২ ঘটিকা থেকে রাত ০১ ঘটিকার মধ্যে মোবাইল ফেনের মাধ্যমে আসামী আখি আক্তার তার বসতবাড়ীতে ডেকে এনে কথা বলার একপর্যায়ে পিছন থেকে লোহার রড দিয়ে ডিসিস্টের মাথায় উপর্যুপুরি আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করেন। আসামী আখি আক্তার ও তার স্বামী ওমর ফারুক লাশ বস্তাবন্দি করে গুম করার উদ্দেশ্যে তাদের প্রতিবেশী পিবিআই কতৃর্ক গ্রেতারকৃত আসামী মোঃ আলাল মোল্লা (৩৫), পিতা— মৃত বিদ্দু মোল্লা, মাতা—মরিয়ম বেগম, সাং— বাঘাশুর, থানা—দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, জেলা—ঢাকাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে আনেন। তার সহযোগিতায় উক্ত আখি আক্তার ও তার স্বামী ওমর ফারুক তাদের বসতবাড়ী সংলগ্ন সিংহ নদীতে বস্তাবন্দি ডিসিস্ট রুমান শিকদার এর লাশটি ফেলে দেন। কঙ্কাল উদ্ধারের পর নিহত রুমান শিকদারের স্ত্রী সেলিনা আক্তারের আবেদনক্রমে থানা পুলিশ নিহতের মেয়ে নুছরাত (১২) ও ছেলে সাইফ (৬) দ্বয়ের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ পূর্বক তুলনামূলক পরীক্ষার জন্য ডিএনএ এনালিস্ট, সিআইড বরাবর প্রেরণ করলে সিআইডি উক্ত রুমান শিকদার তাদের জৈবিক পিতা মর্মে মতামত প্রদান করেন। মামলার দায়িত্ব গ্রহনের পর তথ্য প্রযুক্তি, সোর্স সহ পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) মোঃ রাশিদুল ইসলাম মামলাটি তদন্তকালে মামলার ঘটনায় জড়িত আসামী ১) আখি আক্তার ও ২) আলাল মোল্লা দ্বয়কে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের অবস্থান সনাক্তপূর্বক গ্রেফতার করেন। আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ডিসিস্ট রুমান শিকদারকে তারা হত্যা করেছে মর্মে নিজেদের দোষ স্বীকার পূর্বক স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং