নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা-২০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেনজির আহমেদ। গত পাঁচ বছরে তার সম্পদের পরিমাণ তিনগুণ হয়েছে। তবে সম্পদ বাড়লেও নেই নগদ টাকা। ২০১৮ সালে তার নগদ ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ছিল। তবে বর্তমানে তার কাছে কোনো নগদ টাকা নেই। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা পর্যালোচনা করে এমন তথ্য জানা গেছে। গত ২৯ নভেম্বর তিনি ঢাকা জেলার রিটার্নিং অফিসারের কাছে এ হলফনামা জমা দেন।
হলফনামায় দেখা গেছে, ২০১৮ সালে বেনজিরের অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ২৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকার। বর্তমানে সেই সম্পদের পরিমাণ বেড়ে ২০ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার টাকা হয়েছে। বেনজিরের স্ত্রীর কাছে পাঁচ বছর আগে সাড়ে ৩ লাখ টাকার স্বর্ণ ছিল। তবে বর্তমানে তার কাছে মাত্র ১৫ হাজার টাকার স্বর্ণ রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে।
অস্থাবর সম্পদ: ২০১৮ সালে বেনজিরের অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ২৬ লাখ ৬ হাজার ৮৭১ টাকা। বর্তমানে এ সম্পদের পরিমাণ বেড়ে ৩ কোটি ৩ লাখ ৯৩ হাজার ১৪৮ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে গত পাঁচ বছরে ব্যাংকে তার জমাকৃত টাকা ১৫৩ গুণ বেড়েছে। বর্তমানে তার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ১ কোটি ৪ লাখ ৩৯ হাজার ১৯৮ টাকা। ২০১৮ সালে এই অর্থের পরিমাণ ৬৮ হাজার ২১৪ টাকা ছিল। বর্তমানে স্থায়ী আমানতে বেনজিরের ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা ও স্ত্রীর নামে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ দেখানো হয়েছে। তবে ২০১৮ সালে বেনজিরের ১২ লাখ টাকার বিনিয়োগ থাকলেও স্ত্রীর নামে কোনো বিনিয়োগ ছিল না। বর্তমানে বাস, ট্রাক, মোটরগাড়ির মূল্য বাবদ ১ কোটি ৭৬ লাখ ৮৩ হাজার ৯৫০ টাকা দেখানো হয়েছে। তবে ৫ বছর আগে এ খাতে ৭২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা দেখানো হয়েছিল। ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী থাকলেও বর্তমানে তা ৩ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়ছে। পাঁচ বছর আগে বেনজিরের বাসায় ৭৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র ছিল। তবে বর্তমানে তার বাসায় ৫ লাখ টাকার আসবাবপত্র রয়েছে।
স্থাবর সম্পদ: ২০১৮ সালে বেনজিরের ৪ কোটি ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৪০ টাকার স্থাবর সম্পদ ছিল। গত পাঁচ বছরে তার এ সম্পদের পরিমাণ বেড়ে ১৭ কোটি ৬৭ লাখ ৩৮ হাজার ১৪০ টাকা হয়েছে। বর্তমানে তার ৩৪৪.৭৫ শতাংশ কৃষিজমি রয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ২ কোটি ৬৯ লাখ ৪৫ হাজার ৫৯০ টাকা। ২০১৮ সালে তার ১৫৫.২৫ শতাংশ কৃষিজমি ছিল। এ হিসাবে গত পাঁচ বছরে তার এ জমির পরিমাণ ১৮৯.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৫ বছরে তার অকৃষিজমি, পৈতৃক বাড়ি এবং দোকান ও ফ্ল্যাটের পরিমাণ একই রয়েছে। তবে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেড়ে চারটি হয়েছে। ২০১৮ সালে ১ কোটি ১২ লাখ টাকার দুটি অ্যাপার্টমেন্ট ছিল। গত পাঁচ বছরে ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩১০ টাকা মূল্যের আরও দুটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় করেছেন।
দায়: বেনজিরের দেনাও কমেছে। বর্তমানে তার তিনটি ব্যাংক হিসাবে ২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা দেনা রয়েছে। ২০১৮ সালে এ দেনার পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৬৩ লাখ ৩ হাজার ৪৬৩ টাকা। গত পাঁচ বছরে তার ৩ কোটি ৮ লাখ টাকার বেশি দেনা কমেছে।