মোঃ রাসেল মিয়া ঢাকা ধামরাই (ক্রাইম)
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় ১৯৩ ঢাকা-২০ আসনে অংশ নিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোহাদ্দেছ হোসেন। সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ত্যাগ করা এই নেতার নগদ টাকা আছে মাত্র পাঁচ লাখ। ধামরাই শহরে তিনি যে অ্যাপার্টমেন্টে থাকেন সেটির মূল্যও তিনি দেখিয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। যেখানে মোহাদ্দেছ জানিয়েছেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা দাখিল পাস।
গত পাঁচ বছরে তার আয় বলতে তিনি উল্লেখ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্মানী ভাতা পাঁচ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কৃষিখাত থেকে তার আয় তিন লাখ টাকা। আর মোহাদ্দেছের কাছে নগদ টাকা আছে পাঁচ লাখ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ২ লাখ লাখ ১০ হাজার টাকা। স্ত্রীর স্বর্ণ আছে পাঁচ ভরি। ঘরে ইলেকট্রনিক সামগ্রী বলতে আছে শুধু টিভি আর ফ্রিজ। আর আসবাবপত্র আছে খাট, সোফা ও ওয়ারড্রব। ৭৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা মূল্যমান মানের ১.৬৭ একর কৃষি জমির মালিক মোহাদ্দেছ হোসেন। যা যৌথ মালিকানার ১/৬ হিসেবে ১০.২ একর থেকে মালিক তিনি। একইভাবে ধামরাইয়ে ৩০ শতাংশ জমির ১/৬ মালিকানা হিসেবে ০.৫ শতাংশ জমিতে অ্যাপার্টমেন্ট আছে তার। হলফনামায় ওই বাড়ির মূল্যমান তিনি দেখিয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা।
২০১৯ সালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তৎকালীন যুবলীগ নেতা মোহাদ্দেছ হোসেন। তবে দল মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ ঢাকা জেলা সহসভাপতি মিজানুর রহমানকে। মোহাদ্দেছ ওই সময় বিদ্রোহী প্রার্থী হন। ভোটের পর মোহাদ্দেছকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০২১ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মোহাদ্দেছ সাংগঠনিক সম্পাদক হন।
তফসিল ঘোষণার পর বর্তমান সংসদ সদস্য বেনজির আহমেদ ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কেনেন এমএ মালেক, আহম্মদ আল জামান ও মোহাদ্দেছ হোসেন। আহম্মদ আল জামান ভোট থেকে সরে দাঁড়ান। নৌকার মনোনয়ন পান বেনজির আহমদ।
বর্তমানে নৌকার বিরুদ্ধে বেনজির ও মালেকের বিরুদ্ধে ভোটের মাঠে আছেন মোহাদ্দেছ হোসেন। এমএ মালেক স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও এখনও প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালন করেননি।
উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার আগে মোহাদ্দেছ হোসেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, ধামরাই পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, ধামরাই সরকারি কলেজের ভিপি ও ধামরাই হার্ডিঞ্জ হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলেন।