এম জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী::
অনুসন্ধানে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৬শে ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার আদাবারিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডভূক্ত আতোষ খালী গ্রামে মরহুম নাজের আলী মুন্সিবাড়ির মোঃ খোরশেদ মুন্সির ছেলে মোঃ সেলিম মুন্সি (৪৫) এর আপন চাচাতো ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলছিল। যাহার দরুন পটুয়াখালী আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
এদিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ওই রাতে আলাউদ্দিন মুন্সির ছেলে শাকিল, রাকিব ও মেয়ে মারজিনা ওত পেতে থাকে। এসময় মোঃ সেলিম মুন্সি মিলঘর বাজার থেকে পটুয়াখালী-২ আসনের এমপি আ.স.ম ফিরোজের উঠান বৈঠক শেষে বাড়িতে ফেরার পথে বাড়ির দরজায় পৌঁছানো মাত্র পূর্ব থেকে ওঁত পেতে থাকা চাচাতো ভাইরা অতর্কিত হামলা চালায় ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বুকে, মাথায়, হাতে কুপিয়ে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে।
সেলিম মুন্সি আত্মরক্ষার জন্য দৌড়িয়ে পাশের শামসুল হক মুন্সির ঘরে প্রবেশ করলে সেখানে ঘরের মধ্যে অচেতন হয়ে পড়েন এবং অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের জন্য ঘরের মধ্যেই মারা যায়।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সেলিম মুন্সির মার্ডার হওয়ার খবর শুনে আলাউদ্দিন মুন্সি (৫০), পিতা মৃত: আমির হোসেন মুন্সি স্টক করে মারা যায়। হামলায় আহত মৃত কাসেম মুন্সীর ছেলে মোঃ আল-আমিন নামে একজন আহত হয়। তাকে বর্তমানে পটুয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। প্রকাশ থাকে যে উভয় গ্রুপের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান আছে।
মার্ডারের ঘটনায় মোসাঃ ফুলবানু (৪৭) ও মার্জিয়া বেগম নামে দুই নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দিন সাবু বলেন, সেলিম মুন্সী ও আলাউদ্দিন মুন্সী আপন চাচাতো ভাই। তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা নিয়ে বিরোধ চলছে। আর এ বিরোধের জের ধরেই সেলিম মুন্সির উপর তারা হামলা করে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তবে আলাউদ্দিন মুন্সী কিভাবে মারা গেছে তা বলতে পারবোনা।
বাউফল থানার তদন্ত ওসি আতিকুল ইসলাম বলেন, দুই মার্ডারের ঘটনায় দুই পরিবারের পক্ষ থেকে দুইটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং দুই জন নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।