এম জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী::
পটুয়াখালীর বাউফলে হঠাৎ শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে জেঁকে বসা শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। ছিন্নমূল মানুষেরা পড়েছে বেশি বিপাকে। শীত তাড়াতে তাদের অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে সাময়িকভাবে একটু প্রশান্তি খোঁজার চেষ্টা করছে। দরিদ্র ও শ্রমজীবীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। শীতের সঙ্গে মৃদু ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত বৃহস্পতিবার থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি তেমনটা। এ ছাড়া সন্ধ্যার পর ছিন্নমূল মানুষগুলোকে পথের ধারে খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়।
এদিকে হিমেল হাওয়া আর কুয়াশা প্রবাহে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয় এবং ছিন্নমূল মানুষেরা। প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে তারা দুর্ভোগে পড়েছে। শীত নিবারণের জন্য কম দামে শীতবস্ত্র কিনতে নিম্ন এবং মধ্যবিত্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। বিশেষ করে ছিন্নমূল এবং নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোতে শিশু ও বয়স্করা বিপাকে পড়েছে। গরম কাপড় না পাওয়ায় শীতে আক্রান্ত হয়ে অনেকে অসুস্থ হয়েও পড়ছে। ফলে বাড়ছে শীতজনিত রোগের মাত্রাও।
তবে সরকারি, সেবরকারি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে চোখে পড়ার মতো শীতবস্ত্র বিতরণ হয়নি। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। আগামী কয়েক দিনে শীত আরো বাড়লে এসব মানুষের ভোগান্তিও বাড়বে ব্যাপক হারে।
বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস এলাকার বাসিন্দা পারভীন বেগম ও শৌলা এলাকার মিনি বেগম বলেন, ঠান্ডায় ও বাতাসের কারণে বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে আমরা খুব কষ্টে আছি। আমরা আগুন পোহাচ্ছি। আগুন যত সময় পোহাচ্ছি তত সময় ভালো আছি আগুন থেকে উঠে গেলে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত আমরা কোন সাহায্য সহযোগীতা পাইনি। আমাদের লেপ-তোশক ফ্রি দিতে পারেন না?
আরেক বাসিন্দা বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত শীতের কোন সাহায্য পাই নাই। তাই আমরা এখানে আগুন পোহাচ্ছি।
ভ্যান, রিকশা ও অটো চালকরা বলেন, শীতের কারণে বিশেষ করে উত্তরের বাতাসে গাড়ি চালাতে খুবই কষ্ট হয়। ভোরে গাড়ি চালাতে পারিনা শীতের কারণে। অনেক শীত। বাহিরে বের হওয়া খুবই কঠিন। রাস্তায় লোকজনও খুবই কম।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে আরও ২/৩ দিন আবহাওয়া এমন থাকতে পারে এবং মৃদু বৃষ্টি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান।
তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হওয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ বশির গাজী বলেন, সরকারিভাবে উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে কম্বল দেওয়া হয়েছে। যাতে করে নিম্ন আয়ের মানুষ জন সহ অসহায় দুস্থ গরীব মানুষ কম্বল গুলো পেতে পারে। তা স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে দ্রুত বিতরণের জন্য বলা হয়েছে এবং অনেক ইউনিয়নে বিতরণও হয়েছে। আমাদের এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তবে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে অসহায় দুস্থ গরীব মানুষের কম্বল গুলো প্রকৃত পক্ষে তারা তেমন পাননা, কিছু অসহায় দুস্থ গরীব মানুষ পেলেও তিনের দুঅংশ চলে যায় যাদের আছে তাদের কাছে। কেউ কেউ বলছেন বিভিন্ন ইউনিয়নে চলে স্বজনপ্রীতি।