এম জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী::
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় এক কিশোরী শিক্ষার্থী কে পাশের বাড়ির জালাল খানের ছেলে মোঃ মাইনুদ্দিন খান (২০) অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই কিশোরী শিক্ষার্থীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে তা সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও উদ্ধার করতে পারেননি বলে জানা গেছে।
ওই কিশোরী শিক্ষার্থীর নাম রিয়ামনি (১৩), তার পিতার নাম মোঃ বাদশা সরদার। তার বাড়ি দশমিনা সদর ইউনিয়নের হাজিরহাট গ্রামের ৩নং ওয়ার্ডে। সে হাজিরহাট নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।
সরেজমিনে কিশোরী শিক্ষার্থী রিয়ামনির বাবা-মা ও বোন বলেন, গত পহেলা ফেব্রুয়ারী-২৪ ইং রোজ বৃহস্পতিবার রিয়ামনি স্কুলের উদ্দেশ্যে সকাল ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।বিকাল ৪টার দিকে স্কুল ছুটি হলে রিয়ামনির সকল সহপাঠীরা যার যার বাড়ি চলে যায়। অনেকক্ষন অপেক্ষা করার পর রিয়ামনি স্কুল থেকে বাড়ি না আাসায় ততক্ষণাত স্কুল শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান রিয়ামনি স্কুলে আজকে আসেনি। পরে খোঁজখবরের এক পর্যায় রিয়ামনির এক সহপাঠীর কাছে জানতে পারি মাইনুদ্দিন তাকে নিয়ে কোথাও যেন গেছে। পরে বিষয়টি মাইনুদ্দিনের বাবা-মা কে জানালে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আমাদের বিভিন্ন গালমন্দ করে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
তারা আরও বলেন, পরবর্তীতে বিষয়টি স্থানীয়দের জানিয়ে পরেরদিন শুক্রবার থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেই। কিন্তু সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও আমাদের কিশোরী শিক্ষার্থী রিয়ামনিকে উদ্ধার করতে পারেনি। তাদের মধ্যে কেমন যেন গড়িমসি চলছে। এদিকে মাইনুদ্দিনের বড় ভাই মাসুম খান সে আমাদের অবুঝ মেয়েকে তাদের হাতের কব্জায় আটকিয়ে মেয়েকে দিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে ভিডিও বক্তব্য রেকর্ড করে তা আবার মাসুম খানের ফেসবুক আইডিতে ও বিভিন্ন ফেসবুক আইডিতে ছেড়ে দিয়ে ভাইরাল করছে। আমরা আমাদের মেয়েকে পুলিশের মাধ্যমে দ্রুত উদ্ধার পূর্বক অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে বিচার দাবি করছি।
অভিযুক্ত মাইনুদ্দিনের বাবা-মা বলেন, তারা তাদের মেয়েকে খুঁজে নিক। আমরা ওব্যাপারে কিছু জানিনা বলে এড়িয়ে যান।
এদিকে স্থানীয় গোপন সূত্রে জানা যায়, মেয়েকে তার পরিবার নাকি অন্য কোথাও বিয়ে দেওয়ার জন্য পায়তারা করলে জালাল খানের ছেলে মাইনুদ্দিন তার মেয়েকে নিয়ে কোথাও চলে যায়।
এবিষয়ে দশমিনা থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। আমরা খুব দ্রুত ওই ছেলে ও মেয়ে কে উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।