মো: মিজানুর রহমান
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
মাদকদ্রব্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এটা কেবল মানুষের দৈহিক স্বাস্থ্যেরই ক্ষতি করে না, মানসিক অবস্থারও দৈন্য ঘটায়। তাছাড়া পারিবারিক ও সামাজিক ভাবমূর্তিও মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করে।আমাদের সমাজে মাদকদ্রব্য গ্রহণ করাকে সব সময়ই নিন্দার দৃষ্টিতে দেখা হতাে। আর যারা মদক গ্রহণ করত তারা ছিল সমাজের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি। কিন্তু আজকের দিনে সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। সমাজের প্রভাবশালী, অর্থগৃধু ও স্বার্থপর ব্যক্তিরা অপরাধীদের সাথে হাত মিলিয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞল পর্যন্ত মাদকদ্রব্যের বিস্তার ঘটিয়েছে। যুবসমাজকে স্বপ্নময় জগতের মােহে ফেলে মাদকের ভয়াবহ শিকারে পরিণত করেছে। কিশাের থেকে মধ্যবয়সী পর্যন্ত সমাজের একটা অংশ এখন শুধু মদ-গাজা নয়, ফেনসিডিল, হেরােইন, ইয়াবার ভয়ংকর থাবার অসহায় শিকার।শ্রীপুর উপজেলার বরমী তে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে ভয়াবহ মাদক। মাদক ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের অশালিন ও অশৃংখল চলাফেরায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। বরমীতে মাদকের সহজলভ্যতায় হুমকির মুখে পড়ছেন পরিবার ও স্থানীয় যুব সমাজ।
বরমী থেকে ভয়াবহ মাদক ব্যবসা ও ব্যবসায়ীদের দমন করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভয়ংকর মাদকের দিকে আকৃষ্ট করবে।
এলাকার ঐতিহ্য ও সুনাম ক্ষুন্ন হবে।
বরমীবাসি তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে হুমকির মুখে পড়বে।
বারমীতে মাদকের চাহিদা আছে তাই সরবরাহও আছে৷ কিন্তু সরবরাহ বন্ধ করা না গেলে চাহিদা বাড়তেই থাকবে৷
আর এই সরবরাহ বন্ধ করতে না পারলে এর ব্যবহার বন্ধ করা যাবে না৷ সরবরাহ বন্ধের দায়িত্ব সরকারের৷ সরকার তার দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে দিয়ে সরবরাহ বন্ধ করতে পারছে না বা মাদক সরবরাহ বন্ধ হচ্ছে না৷ বাকি দায়িত্ব সমাজ ও পরিবারের৷ যদি সরবরাহ বন্ধ করা না যায়, তাহলে সমাজ ও পরিবার দায়িত্ব পালন করলেও মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসার স্বার্থেই এর চাহিদা তৈরির জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তাই করবে৷
এই ব্যপারে সিনিয়র সাংবাদিক, বাংলাদেশ রিপোর্টার্স ইউনিটি কেন্দ্রীয় কমিটির আইসিটি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিঃ মোঃ মোমেন আকন্দ জানান, গ্রাম থেকে শহর পাড়া মহল্লা সর্বত্র এই বিস্ফোঁড়ার মতো অবস্থা নিয়েছে মাদক। মাদকের লাগাম এখনই টেনে না ধরতে পারলে, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে। তাই, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
বাংলাদেশে মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর৷ এর বাইরে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং কোস্টগার্ড মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং মাদকের বিরুদ্ধে অভিযানে কাজ করে৷
ভয়াবহ মাদক নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় দায়িত্বশীল সচেতন নাগরিক, জনপ্রতিনিধি, ও প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।