এম জাফরান হারুন::
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নে ধান কাটায় বাধা দেওয়ায় পক্ষের লোকজন কে কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ৬ জন আহত হয়ে বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এবং আহত কামাল মীর বাদী হয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বাউফল সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কালাইয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের শৌলা গ্রামের নুরজাহান গার্ডেন সংলগ্ন উত্তর পাশে এঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ১/মোঃ আবু কালাম মীর, পিতা মৃত মোঃ গঞ্জের আলী মীর। ২/ মোঃ বাবুল মীর, পিতা মৃত মোঃ লেদু মীর। ৩/ আল আমিন মীর, পিতা মোঃ আবু কালাম মীর। ৪/ মোঃ কামাল মীর, পিতা মোঃ হাফেজ মীর। ৫/ বরু বিবি, স্বামী মৃত মোঃ হাফেজ মীর। ৬/ রোকেয়া বেগম, স্বামী মোঃ আবু কালাম মীর।
সরেজমিনে আহতরা জানান, আমাদের ভোগদখলীয় পৈত্রিক জমিতে রোপণকৃত ধান প্রতিপক্ষের জহির মীর, মানিক মীর, রফিক মীর, মাহাবুল মীর, রফিক সরদার, সজিব সিকদার সহ আরও ৫/৬ জন অবস্থান নিয়ে ধান কাটতে ছিল। এসময় আমরা টের পেয়ে মহিলাদের সাথে নিয়ে বাধা বিপত্তি করলে তারা আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা ও দা কাঁচি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তাতে আমরা রক্তাক্ত কাটা ও নীলাফুলা জখম হয়ে আহত হই। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদের পরিবারের সহযোগিতায় হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। আমাদের মধ্যে ৩জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেছেন। আর ৩জন গুরুত্বর রক্তাক্ত কাটা জখম ও নীলাফুলা হওয়ায় ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়া হচ্ছে। আমরা তাদের বিচার শাস্তি চাই।
সরেজমিনে স্থানীয়রা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ জমিজমার বিরোধ চলে আসছিল। একাধিকবার শালিসমীমাংসা হয়েছে। তবে কেউ মানে আবার কেউ মানেনা। এ ঘটনার সময় বা আগে পরে লুৎফর মীর ও রফিক সরদার ছিলেন না। তবে আমরা স্থানীয়রা এসব ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান চাই।
এব্যাপারে অভিযুক্ত প্রতিপক্ষের মধ্যে মানিক মীর বলেন, আমাদের জমিতে আমরা ধান কাটতে গেলে পক্ষের লোকজন মহিলা পুরুষ সহ রাম দা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় আমাদের এক মহিলার গায়ে হাত দেয়। এ জমি নিয়ে একাধিকবার শালিস মীমাংসা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনও শালিস মীমাংসা মানেননা। তারা আমাদের জমি জোরপূর্বক দখল করে আসছিল।
এবিষয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা বাউফল থানার এসআই মাসুদ খলিফা বলেন, ঘটনার কথা শুনে ওসি স্যারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখন পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।