এম জাফরান হারুন::
পটুয়াখালীর বাউফলে বিজ্ঞ আদালতের স্থিতিবস্থা অমান্য করে বিরোধীয় জমিতে ঘর তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে শহিদুল ইসলাম ও কাকলি বেগমের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটেছে বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে। এব্যাপারে মামলার বাদী মোঃ জসিম উদ্দিন গং লিখিত অভিযোগ করে জানান, ২০১২ সালে কালাইয়ার বাড়িতে ঘর তোলার সময় আমাদের ভিটির জমি যদি আমাদের আপন চাচা কে দেই তাহলে সে আমাদের এই জমি দিবে এই কথা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির মোল্লার নিকট স্বীকারোক্তি করে কথা দেন। কিন্তু সেই জমি আমাদেরকে না দিয়ে গোপনে কাকুলি বেগম এর কাছে বিক্রি করে। তাই আমরা মোহাম্মদি আইনে টাকা দাহিলের মামলা করি। যার মামলা নং ৬৭২/২০২১। বিজ্ঞ আদালত মামলার প্রেক্ষিতে ওই বিরোধীয় জমিতে স্থিতিবস্থা জারি করেন। জারির সেই নোটিশ আদালত থেকে বাউফল থানায় পাঠান এবং এএসআই এনায়েত হোসেন সেই নোটিশ কাকলি বেগম গং ও শহিদুল ইসলামের কাছে পাঠানো হয়। কিন্তু সেই স্থিতিবস্থা অমান্য করে গত সোমবার ১৩/০১/২৫ তারিখে বাড়িতে আমরা কেউ না থাকা অবস্থায় তারা জমি দখলে নেওয়ার জন্য টিনের দুচালা ঘর তোলেন।
বাদী মোঃ জসিম উদ্দিন গং আরও জানান, এদিকে ঘর তোলার কথা শুনে ঘটনাস্থলে গেলে তারা আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে সরিয়ে দেয়। পরে এব্যাপারে বাউফল থানাকে জানানো হয়েছে। তাই আমরা তাদের বিচার দাবি করছি।
স্থানীয়রা জানান, শহিদুল ইসলাম তার জমি তার ভাতিজাদের কাছে বিক্রি না করায় শুনেছি ভাতিজারা ওয়ারিশ আইনে মামলা করেছেন। এখন শুনলাম বিজ্ঞ আদালত স্থিতিবস্থা জারি করেছে। তা অমান্য করে বিরোধীয় জমিতে ঘর তোলা ঠিক হয়নি।
জমি ক্রয়কারী কাকলি বেগম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি জমিটুকু আজ থেকে ৫/৬ বছর আগে জমির মালিক শহিদুল ইসলামের কাছ থেকে ক্রয় করেছি। তবে ঘর আমি তুলিনি, জমিদাতা শহিদুল ইসলাম নিজে উপস্থিত থেকে গত ১৩/০১/২০২৫ তারিখে মিস্ত্রি দিয়ে ঘর তুলেছেন।
এব্যাপারে জানতে চাইলে শহিদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমার জমি আমি কার কাছে বিক্রি করবো সেটা আমার ব্যাপার। আমার জমি কাকলি বেগমের কাছে বিক্রি করেছি, তারা ভোগদখল করতে পারেনা বিধায় আমি নিজে উপস্থিত থেকে ঘর তুলে দিয়েছি। আর এখনতো টাকা হলেই ওরকম নিষেধাজ্ঞা আনা যায়। প্রয়োজন হলে আদালত আমার কাছে আসবে!
এবিষয়ে বাউফল থানার এএসআই এনায়েত হোসেন বলেন, আদালতের স্থিতিবস্থা অমান্য করে বিবাদীগন তাদের গায়ের জোরে বিরোধীয় জমিতে ঘর তুলেছেন বিষয়টি অবগত হয়েছি। এব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।