অথই নূরুল আমিন
বাংলা একাডেমি প্রতিবছরই দশ ক্যাটাগরির পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে। এবং পুরস্কার ঘোষণা করার পর কয়েক বছর ধরেই বিভিন্ন বিতর্ক চলছে। কখনও সম্পূর্ণ অযোগ্য লেখক বা গবেষক পুরস্কার পেয়ে থাকেন। আবার কোন লেখক পুরস্কার পাওয়ার পরও গ্রহণ করতে অস্বীকার বা অস্বীকৃতি জানান।
এরকম অবস্থায় বাংলা একাডেমির পুরস্কারটার মান যেমন বিতর্কিত হচ্ছে। তেমনি একজন লেখক পুরস্কার পাওয়ার পরেও তিনি সমাজে খুব গ্রহণযোগ্য হচ্ছেন না।
এরকম জরাজীর্ণ অবস্থান থেকে বাংলা একাডেমি বেরিয়ে আসার পরামর্শ দিচ্ছি। যে দশ ক্যাটাগরিতে বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রদান করে। সেইসব ক্যাটাগরির উপরে দেশে বিদেশে অসংখ্য পাঠক রয়েছেন। আমি মনে করি অনলাইন ভিত্তিক পাঠক জরিপ করার উপরে পুরস্কার ঘোষণা করলে তেমন সমস্যা থাকে না।
যেখানে বাংলা একাডেমির সদস্য পদ লাভ করতে একজন লেখককে পনেরোটা ধাপ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয় অনেককেই। সেখানে পুরস্কার ঘোষণার ক্ষেত্রে ঘুষ প্রথাটি এখানে নেই। এরকম বিষয়টি সহজে মেনে নেব কি করে?
পুরস্কারের ক্ষেত্রে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলে বাংলা একাডেমির জন্য আরো ভালো হয়। এবং আরো জনপ্রিয় হবে বাংলা একাডেমি। সেটা হলো পুরুষেরা দশ ক্যাটাগরিতে দশজন। এবং নারীদের বেলায় পাঁচ ক্যাটাগরিতে পাঁচজন। আলাদা আলাদা ভাবে পুরস্কার দেবার এমন পন্থা অবলম্বন করলে। আমি মনে করি বাংলা একাডেমির যেমন বাড়বে সুনাম। তেমনি বাড়বে একাডেমির কর্ম পরিকল্পনা। বাংলা একাডেমির সাফল্য কামনা করে আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি।