আরিফ হোসাইন ,বরগুনাঃ
বরগুনার তালতলী উপজেলায়
ভাবিকে জবাই করে হত্যার ১০ বছর পরে এবার ছয় বছরের ভাতিজী মোসা. নাহিলকে পিটিয়ে খুন করেছেন মাদকাসক্ত চাচা হাবিব খান।
শিশু নাহিল, ইদুপাড়া এলাকার জেলে মোঃ দুলাল খানের মেয়ে এবং লালুপাড়া আইডিয়াল স্কুলের কেজি শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত চাচা মোঃ হাবিবকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে নিহত ওই শিশুটির বাবা মোঃ দুলাল খান বাদী হয়ে তালতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত হাবিব মামলার বাদী দুলাল খানের আপন ভাই হওয়ায় তারা একই বাড়িতে বসবাস করতেন। তবে হাবিব সার্বক্ষণিক নেশাগ্রস্থ থাকায় প্রায় সময়ই অহেতুকভাবে পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের গালিগালাজ করাসহ মারধরও করতেন। ঘটনার দিন ভুক্তভোগী নাহিল ইদুপাড়া ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন একটি মুদির দোকানে রুটি কিনতে যায়। এ সময় হঠাৎ হাবিব পিছন থেকে এসে একটি লাঠি দিয়ে নাহিলের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় শিশুটিকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তবে বরিশাল নেওয়ার পথেই মৃত্যু হয় শিশু নাহিলের।
এরআগে একইদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তলতলী উপজেলার ৭নং সোনাকাটা ইউনিয়নের ইদুপাড়া নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদকাসক্ত চাচা হাবিব খান ২০১৫ সালে বড় ভাই দুলাল খানের প্রথম স্ত্রী তানিয়া বেগমকে জবাই করে হত্যা করেছিলো, তখন তার বয়স ছিলো মাত্র ১৭ বছর। সে মামলায় শিশু আইনে নয় বছর সাজাভোগ করে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে জামিনে বের হন হাবিব। মুক্তি পাওয়ার এক বছর পাড় না হতেই একই জনমে দুই পরিবারের রক্তে রাঙা হলো তালতলী ঈদু পাড়া গ্রাম, এক ভাইয়ের হাতে আরেক ভাইয়ের ঘরের প্রাণ।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, চাচা কতৃক ভাতিজী হত্যার একটি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘাটনায় নিহত ওই শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত আসামি চাচা হাবিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বুধবার সকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।