
ইত্তিজা মনির:
বরগুনা সদর উপজেলার আলিয়া মাদ্রাসা সড়কে গ্রাম ডাক্তার মোঃ কামালের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিকে কেন্দ্র করে ২য় স্ত্রী কুলসুমকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত স্ত্রীকে স্থানীয়রা ও বরগুনা থানা পুলিশের সহযোগিতায় বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নারী ও শিশু আদালতে মামলার পর পুলিশকে আসামীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন বরগুনার নারীও শিশু আদালত।
গত সোমবার রাত আনুমানিক ৪ঃ০০ টার সময় গ্রাম ডাক্তার মোঃ কামাল ও তার প্রথম স্ত্রী নার্গিস,ছেলে রাসেল,রাজিব ছেলে একত্রে ২য় স্ত্রী কুলসুম কে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং হত্যার উদ্দেশে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর শুরু করে। কুলসুমের আর্তচিৎকারে রাতে বরশি দিয়ে পুকুরে মাছ ধরতে আসা দুজন প্রতিবেশী উদ্ধার করে। প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে কুলসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল রেফার করেছে। শরীরের বিভিন্ন ক্ষতস্থান দেখিয়ে কুলসুম বলেন আমাকে প্রায়ই যৌতুকের জন্য মারধর করা হত। 
কুলসুম বলেন গত ০১,১০,২০২৫ আমার গর্ভে সন্তান আসলে সেটাও ঔষধ খাওয়াইয়ে গর্ভপাত করান আমার স্বামী গ্রাম ডাক্তার কামাল হোসেন। ডাক্তার সহ আরো পাঁচ জন আসামী করে নারী ও শিশু আদালতে মামলা হয়েছে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারের জন্য খুজছেন। হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে আহত কুলসুমের শরীরে আঘাতের বিভিন্ন চিহ্ন দেখা গেছে এবং তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
গ্রাম ডাক্তার মোঃ কামাল হোসেন বলেন কুলসুম আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছেন আমি তার সাথে আইনের মাধ্যমে বুঝব।