1. info@www.dailybdcrimetimes.com : দৈনিক বিডি ক্রাইম টাইমস.কম :
রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৩ অপরাহ্ন
Title :
বাউফলে ব্যবসায়ী কে আটকিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি সহ মারধরের অভিযোগ  পাঠ্য বইয়ে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে গাইবান্ধায় এসকে এস স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত বরগুনার পাথরঘাটায়   স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার!    পলাশবাড়ীতে শিশুদের নিয়ে নবান্ন উৎসব হোপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের পুলিশ ইচ্ছে করেই গ্রেপ্তার করছেননা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষপানে স্বামীর আত্মহত্যা আহ্ নিয়তী: আন্দোলনে চোখ হারানো স্বামীকে তালাক দিয়ে চলে গেছেন স্ত্রী ভারতের উগ্র রাজনৈতিক সংগঠন বিজেপি বাংলাদেশে সম্প্রতি নষ্ট করতে চায়-আব্দুল হাই শিকদার মরহুম আব্দুল বারেক মেম্বারে ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

স্বাভাবিক মৃত্যু! নাকি পরিকল্পিত হত্যা? মাদক মামলায় গ্রেফতার সুমি ওরফে নিশা 

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৪১৮ Time View

বিশেষ প্রতিনিধি:
২০০৭ সালে রাজধানীর মিরপুরের,পূর্ব মনিপুর এলাকায় মাদক সম্রাজ্ঞী নিশা ওরফে সুমি (৩৪) গড়ে তুলেছিলেন এক বিশাল মাদক সিন্ডিকেট। তিনি মাদক সেবন, মাদক ব‍্যবসা, মাদক সাপ্লাই করাসহ অন্যান্য অপরাধ মূলক কাজের সাথে জড়িত ছিলেন। তার বেপরোয়া উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় মিরপুর মডেল থানায় নিশা ওরফে সুমির বিরুদ্ধে গোপনভাবে তথ্য প্রদান করেন। এলাকাবাসীর দেয়া তথ্য মতে মিরপুর মডেল থানা কতৃক অভিযান পরিচালনা করে, ভারতীয় অবৈধ ৮ পিস ফেনসিডিল সহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে নিশা ওরফে সুমি নামের এই মাদকসম্রাজ্ঞী কে । আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেন নিশা ওরফে সুমির নামে। কিছুদিন পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারও মাদকের রমরমা বানিজ্য শুরু করে নিশা ওরফে সুমি। উক্ত মামলায় নিয়মিত হাজিরা প্রদান না করার কারণে বিজ্ঞ আদালতে ২০১৯ সালে আসামী সুমি ওরফে নিশার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয় । এই ওয়ারেন্ট ইস্যুর খবর জানা মাত্রই নিশা উধাও হয়ে যায় পূর্ব-মনিপুর এলাকা থেকে। মিরপুর মডেল থানা কতৃক বিভিন্ন সময় খোজ করেও সন্ধান মেলেনি মাদক ব‍্যবসায়ী নিশার।
অপরদিকে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আরও চমকপ্রদ তথ্য, খোঁজ নিয়ে জানা যায় মাদক মামলায় ওয়ারেন্ট হওয়ার পরে মাদক ব্যবসায়ী নিশা ওরফে সুমি সটকে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানা এলাকায়,সেখানেই সখ্যতা গড়ে তোলেন আরেক লাইসেন্সধারী বাংলা মদ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। দুই সন্তানের পিতা আনোয়ার হোসেনের সাথে ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন নিশা ওরফে সুমি। জানাযায় সম্পত্তির লোভে আনোয়ার হোসেন কে বিয়ে করেন নিশা, পরবর্তীতে তাদের সংসারে একটি মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। এদিকে বাংলা মদ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন ছিলেন মাদকাসক্ত নেশা করা ছাড়া একটি দিনও পার হতো না তার। নিশার থেকে বয়সে অন্তত ২৫ বছরের বড়। আনোয়ার হোসেন এর ধীরে ধীরে শারীরিক অসুস্থতা ও অক্ষমতায়, যৌন চাহিদায় দিশেহারা হয়ে পড়েন সুমি ওরফে নিশা। যৌন চাহিদা মেটাতেই আপন ভাগিনা রায়হান (২৮) এর সাথে হর হামেশাই খোশ গপ্প ও আমোদে মেতে থাকতেন নিশা,বিষয়টি একাধিকবার অসুস্থ স্বামী আনোয়ার হোসেনের নজরেও এসেছে। কিন্তু এ বিষয়ে সুমিকে কোন প্রশ্ন করলেই সংসারে নানা প্রকার অশান্তি শুরু করত সুমি। নিজের মান সম্মান বাঁচাতে এ বিষয়ে সব জেনে শুনেও মুখ বুজে সহ্য করতেন আনোয়ার হোসেন। কিন্তু মুখ বুজে সব সহ্য করলেও অসুস্থ অবস্থায় তার আপন বড় ভাই জাহাঙ্গীর (৫৫) এর কাছে বিষয়টি জানিয়ে রাখেন তিনি। তবে সত্য ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে কতদিনই বা রাখা যায়, এক সময়ে পরিবারের সবার কাছে এবং এলাকাবাসীর কাছে বিষয়টি উন্মোচিত হয়। মান সম্মান ও ইজ্জত বাঁচাতে আপন ভাগিনা রায়হানের সাথে, মামীর পরকীয়া প্রেমর কাহিনী ধামাচাপা দেয়ার জন্য নিজের নাবালিকা মেয়ে অর্নি আক্তার (১৪) কে সেই ভাগিনা রায়হানের কাছে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়া হয়। যে বিয়েতে সম্মতি ছিল না নাবালিকা মেয়ে অর্নির। যার ফলে কিছুদিন অতিবাহিত হতে না হতেই অর্নির সাথে ছাড়াছাড়ি করতে বাধ্য হয় ভাগিনা রায়হান। এদিকে নিয়মিত মাদক সেবনের ফলে ধীরে ধীরে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন লাইসেন্সধারী বাংলা মদের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিগত ১৭/০৫/ ২০২৩ ইং তারিখে লিভার ও কিডনি বিনষ্ট হওয়ার কারণে মৃত্যুবরণ করেন আনোয়ার হোসেন। স্বামী আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুতে পথের সমস্ত কাঁটা সরে যায় মাদক সম্রাজ্ঞী ও পরকীয়া আসক্ত সুমি ওরফে নিশার। ভাগিনার সাথে নিজের মেয়ে অর্নির ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও মামি ও ভাগিনার পরকীয়ায় কোন কমতি নেই।
তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ২৪/০৬/২০২৩ ইং তারিখে হোটেল সাউথ কিং ( আবাসিক ) গোরস্থান রোড পটুয়াখালীতে হাতেনাতে ধরা পরেন নিজ পরিবারের সদস্য, সুমির ভাসুর, মৃত: আনোয়ার হোসেনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর ও ভাগ্নি জামাতা শাহিনের কাছে। এসময়ে নিজের আপন ভাগিনা ও আপন ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে নিজের রাগ সামলাতে না পেরে গায়ে হাত তুলতে তেড়ে জান জাহাঙ্গীর, আর তাতেই ভাসুরের প্রতি চরম ক্ষোভ জন্ম নেয় মাদক সম্রাজ্ঞী ও পরকীয়া আসক্ত সুমি ওরফে নিশা ও আপন ভাগিনা রায়হানের। কঠিন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় দুজনে, আর সেই ক্ষোভের প্রতিশোধ স্বরূপ বিগত ২৬/০৬/২০২৩ ইং তারিখে “মোকাম পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আমলী আদালতে” ভাসুর জাহাঙ্গীর এবং ভাগ্নি জামাতা শাহিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে সুমি নিজে বাদী হয়ে উল্লেখ করেন…

বিনীত নিবেদন এই যে, আসামিরা পরপ্পর একইদলীয় দাঙ্গাবাজ, চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাদাবাজ ও দস্যু প্রকৃতির লোক বটে। আসামিরা এলাকায় নানা অপকর্মের সহিত জড়িত। আসামিরা দলেবলে শক্তিশালী বিধায় অন্যায়-অবিচার, জুলুম অত্যাচার, নির্যাতন করা আসামিদের নেশা ও পেশা। ১ নং আসামি আমার ভাসুর,২ নং আসামি আমার ভাগ্নি জামাই। আমার স্বামী বিগত ১৭/০৫/২০২৩ ইং তারিখে মৃত্যু বরন করেন। আমার স্বামী কলাপাড়া উপজেলার দেশী মদের দোকানের বিক্রয়কারী ও বহনকারী হিসেবে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের একটি লাইসেন্স আছে। বাদীর স্বামীর মৃত্যুর তিন দিন পর হইতেই আসামিরা উক্ত মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের লাইসেসটি ১ নং আসামির নামে মালিকানা হস্তান্তর করিয়া দিতে বলে। আমি তাহাতে রাজী না হইলে ঘটনার কয়েক দিন পুর্বে
আসামিরা আমার নিকট ১০ .০০.০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি আসামিদের দাবিকৃত চাদার টাকা দিতে অস্বীকতি জানাইলে আসামিরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া আত্রোশ পোষন করিয়া আসিতে থাকে। আমি মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালীতে উক্ত মাদক লাইিসেন্সটি নবায়ন ও হস্তান্তরের বিষয়ের জন্য পটুয়াখালী পৌরসভাধীন গোরস্তান রোডস্থ সাউথ কিং হােটেলে অবস্থান করিলে আসামিরা উক্ত সংবাদ জানতে পারিয়া ঘটনার তারিখ ও সময় অর্থাৎ বিগত ইং ২৫/০৬/২০২৩ ইং তারিখে রোজ- রবিবার সকাল অনুমানিক সময় ০৭:৩০ ঘটিকায় ১ ও ২ নং আসামি পটুয়াখালী পৌরসভাধীন গোরস্তান রােডস্থ হােটেল সাউথ কিং এর ৯৫১ নম্বর রুমে যাইয়া আমাকে পাইয়া ১ ও ২ নং আসামি আমার নিকট আসামিদের পূর্বের দাবিকৃত ১০,০০ ,০০০/- (দশ লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি আসামিদের দাবিকৃত চাদার টাকা দিতে রাজী না হইলে সকল আসামিগণ চাঁদার দাবিতে উত্তজিত হইয়া ভয়ানক অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি করিয়া সকল আসামিরা আমাকে এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি , লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করিয়া ১নং আসামি মাো: জাহাঙ্গীর আলম আমাকে খুন জখমের ভয় দেখাইয়া চাদার দাবিতে আমার গলায় থাকা ১ ভড়ি ওজনের স্বর্নের চেইন এক ছড়া জোরপূর্বক ছিনাইয়া নিয়া যায় যাহার মুল্য অনুমান ৯০ ,০০০/- (নব্বই হাজার) টাকা। আমার ডাক চিৎকারে হােটেলের স্টাফরা আসিয়া আসামিদের নিকট হইতে আমাকে উদ্ধার করে।
আসামিদের মারধরের কারণে আমি অসুস্থ হইয়া পরিলে কতিপয় সাক্ষীরা আমাকে স্থানীয়
ডাক্তারের কাছে নিয়া গেলে ডাক্তার আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
আমার ঘটনা সত্য, সাক্ষীরা ঘটনা দেখিয়াছে ও শুনিয়াছে, তদন্তে ঘটনা প্রমাণিত হইবে,
ঘটনার পর আমি থানায় গিয়া আসামিদের দাপটে মামলা করিতে ব্যর্থ হইয়া বিজ্ঞ আদালতে
আসিয়া অত্র নালিশি মামলা দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।

বাদী পক্ষ সুমি ওরফে নিশার আদালতে দায়ের করা এজাহার হাতে পেয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্টার ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে উল্লেখিত আবাসিক হোটেল সাউথ কিং এর রেজিস্টার খাতা দেখিয়া ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করিতে সক্ষম হয় , ঘটনার তারিখ বাদীপক্ষ ২৫/০৬/২০২৩ ইং তারিখ উল্লেখ করিলেও তিনি ওই হোটেলে অবস্থান নিয়েছিলেন তার আগের দিন অর্থাৎ ২৪/০৬/২০২৩ ইং তারিখ। এবং তাহার সঙ্গে তার আপন ভাগিনা পরকীয়া প্রেমিক রায়হানসহ দুজনেই অনৈতিক কাজের উদ্দেশ্য নিয়ে ঐ হোটেলে অবস্থান নিয়েছিলো। এবং আবাসিক হোটেল সাউথ কিং এর রেজিস্টার খাতায় নিজেদের ভাই বোন পরিচয় দিয়ে রুম ভাড়া নিয়েছিলেন। যাহার জলজ্যান্ত প্রমাণ অনুসন্ধানী টিমের হাতে এসে পৌঁছেছে। অথচ মামলার এজাহারের কোথাও বাদীপক্ষ সুমি ওরফে নিশা আপন ভাগিনা রায়হানের সাথে থাকার কথা উল্লেখ করেননি। এতেই প্রমাণ পাওয়া যায় আপন ভাগিনার সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েই অনৈতিক কাজের উদ্দেশ্যে সুমি ও রায়হান হোটেল সাউথ কিং আবাসিকে রুম ভাড়া নিয়েছিলেন। এবং নিজ পরিবারের সদস্যদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ায় ও তাদেরকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে তেড়ে আশার কারণে ব্যক্তিগত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ও সমাজের চোখে বিবাদীদের হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে কঠিন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে মিরপুর মডেল থানার মাদক মামলায় অভিযুক্ত ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামি সুমি ওরফে নিশাকে অনেক খোজাখুজির পর ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তাহার অবস্থান জানতে পারেন মিরপুর মডেল থানার ওয়ারেন্ট তামিল কারী অফিসার মোঃ ফারুক, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানায় অবগত করে,কলাপড়া থানাধীন গার্লস স্কুল সড়কে বিগত ০৯/০৯/২০২৩ ইং তারিখে মিরপুর মডেল থানার এসআই ফারুক,এএসআই মুকুল,একজন কনস্টেবল ও নারী পুলিশ মনিকা এবং কলাপাড়া থানার মোবাইল টিম উভয়ের নেতৃত্বে ০৯/০৯/২০২৩ ইং আনুমানিক সময় সকাল ০৬:৪৫ মিনিটে ভাগিনা রায়হানের বাসায় অভিযান চালিয়ে আসামী সুমি ওরফে নিশাকে গ্রেপ্তার করে। মিরপুর মডেল থানার ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার এসআই ফারুক জানায় অভিযুক্ত সুমি ওরফে নিশাকে গ্রেফতারের সময় রায়হানের বাসায় শুধু তাদের দুজনকেই দেখা যায়। ১০/০৯/২০২৩ ইং তারিখে মিরপুর মডেল থানার এসআই ফারুকের সাথে কথা বলে জানা যায়, আসামি সুমি ওরফে নিশা ইচ্ছে করেই মামলায় নিজের নাম নিশা উল্লেখ করেছেন এবং বাবার নাম ভুল দিয়েছেন,তাহার ভোটার আইডি কার্ডে দেখা যায় তার নাম সুমি, অথচ মামলায় তাহার নাম দেয়া হয়েছে নিশা এবং বাবার নাম মোঃ ইসমাইল হোসেন। যাচাই-বাছাই শেষে যদি সব ঠিক থাকে আগামীকাল তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হবে।
অপরদিকে সুমির মৃত স্বামী আনোয়ার হোসেন এর প্রথম ঘরের বড় সন্তান অর্ণব (২০) প্রতিবদককে জানায়,আমার ছোট মা সুমি ও রফি নিশাকে বিয়ে করার পর থেকেই আমার বাবা আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত নেশার সাথে জড়িয়ে পড়েন। আমার আপন ফুফাতো ভাই রায়হানের সাথে আমার ছোট মায়ের পরকীয়ার ঘটনা সত্য। যা আমাদের পরিবারের সবাই জানে। একাধিকবার হাতেনাতে ধরাও পড়েছেন তারা। তবে আমরা ও আমার পরিবার এখন সন্দেহ করছি, হয়তো আমার ফুফাতো ভাই রায়হান এবং আমার ছোট মা সুমি ওরফে নিশা দুজনে পরিকল্পনা করে ইচ্ছে করেই আমার বাবা আনোয়ার হোসেন কে বেশি বেশি মাদক সেবন ও ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। এটা আপাতত আমরা সন্দেহ করেছি কোন প্রমাণ পেলে আমরা অবশ্যই বিষয়টি উন্মোচন করার জন্য মামলা দায়ের করবো।
এদিকে অভিযুক্ত রায়হান ও সুমির সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি, তবে রায়হানের আম্মা লুৎফা বেগম (৫১) মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানায়, তার ছেলে রায়হানের সাথে তার আপন ভাইয়ের মেয়ে অর্ণি আক্তারের বিয়ের ঘটনা সত্য, তবে সেই বিয়ে অর্ণি আক্তারের মতামত না থাকায় কিছুদিন পরে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। তার ছেলের শাশুড়ি অথবা ছেলের মামীর সাথে পরকীয়ার ঘটনা মিথ্যা রটনা বলে জানান তিনি।
এলাকাবাসীর কাছে জানা যায়, এখানেও থেমে থাকেনি এই মাদক সাম্রাজ্ঞী সুমি ওরফে নিশা । একের পর এক অনৈতিক কাজের সাথে জরিত এই সুমি। সে এই কলাপাড়া এলাকায় বাংলা মদ ও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত। সমাজে মাদক ছড়িয়ে দিয়ে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে যুবসমাজকে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved
প্রযুক্তি সহায়তায়: বাংলাদেশ হোস্টিং