মো: মিজানুর রহমান
(ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি)
কেও মাকে বিক্রি করে.
কেওবা মেয়েকে
আনেকে ই স্বামী কে বিক্রি করে
অনেকে ই ছেলেকে.!
চেহারায় আসহায়ত্ব ছাপ আর চুখে করুন আকূতি নিয়ে আমাদের আশেপাশের সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ গুলা স্বামি সন্তান কে বিক্রি করার মতই উপস্থাপন করে সাধারণ মানুষ গুলো ইমোশন টাকে কাজে লাগিয়ে করে যাচ্ছে ভিক্ষা ব্যাবসা।
পুঁজি ছাড়া শ্রম ছাড়া সাধারণত মানুষের ইমোশন কে কাজে লাগিয়ে তারা দিনের পর দিন রমরমা ব্যাবসা করে যাছে।
কেও হয়ত এই টাকায় সংসার চালায় আবার হয়তা কিছু আসাধুরা দিন শেষে এই টাকা দিয়ে করে মাদক সেবন।
আমি ১৫ দিন আগে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্য বাসা থেকে রওনা দেই গাজীপুরের মালেকের বাড়ি থেকে এক ভদ্রলোক বাসে উঠে যাত্রী দের উদ্দেশ্যে তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্য চাচ্ছে যাত্রীর উদ্দেশ্যে মুখে চিন্তার ছাপ নিয়ে করুণ চাহনিতে কান্না মাখা কন্ঠে বলতেছে আজকে সন্ধায় মেয়ের আপরেশন না করলে মেয়ে ৭০% ইনজুরি হয়ে যাবে আপরেশন করতে মাত্র আর ৩০০০ টাকা প্রয়োজন সবার কাছে সাহায্য চাচ্ছে।
লোকটার আকুতি মিনতি দেখে সকলেই তার দিকে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দিল।
লোকটি সাহায্য পেয়ে চোখে মুখে হাসি নিয়ে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায় নিল।
তবে এই বিষয় টা এখানে শেষ হলে মেনে নেওয়া যেত!
প্রায় ১৫-১৬ দিন পরের ঘঠনা আমি পরীক্ষা শেষ করে আব্দুল্লাহপুর বাস টার্মিনাল থেকে বাসে উঠার মিনিট পাঁচেক পরেই দেখি ঐ ব্যাক্তি টা আবার কান্না ভড়া কন্ঠে বাসের সকল যাত্রীর উদ্দেশ্যে বলতেছে ডাক্তার বলছে আজকে রাতের মধ্যে অপারেশন না করতে পারলে তার মেয়ে সারা জীবনের জন্য প্যারালাইস্ট হয়ে যাবে বাবা হয়ে মেয়ের এমন কষ্ট সহ্য করতে পারবেনা বিদায় বাড়ীবিটা বিক্রি করে মেয়ের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগার করেছে।
যে পরিমান টাকা তিনি জোগার করেছে তার মেয়ের চিকিৎসা জন্য যঠেষ্ট না।
আরও আনুমানিক ১০-১২ হাজার টাকা প্রয়োজন তাই চক্ষু লজ্জা ভুলে বাধ্য হয়ে সকলের সাহায্য সহযোগিতা কমনা করতেছে।
কান্না ভড়া চোখে আবেগ মাখা কন্ঠে বিষয় টা কে এমন ভাবে উপস্থাপন করতেছে পাথরের মত মন টাও মোমের মত গলে যাবে।
প্রতিনিয়তই এমন কিছু আসাধু চক্রের লোকজন আমাদের সামনে মা,বোন,মেয়ে,স্বামী কিংবা সন্তানকে নিয়ে মিথ্যা গল্প ইমোশনালি আসহায় কন্ঠে উপস্থাপন করে মা-মেয়ে, স্বামী-সন্তান কে বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।
সাধারণত মানুষের ইমোশন টাকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু চক্র রমরমা ব্যবসায় করে যাচ্ছে।
এদের মতো কিছু অসাধু চক্রের ভিড়ে আমাদের সমাজের আসহায় হতদরিদ্র মানুুষের কাছে আমরা সাহায্য পৌঁছাতে পারিনা।
ব্যাস্ত শহর টা তে নানান রঙের মানুষের বসবাস এই শহরে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়তই সংগ্রাম করতে হচ্ছে।
সুবিধা বঞ্চিত অহসায় মানু্ষের সাহায্যের নাম করে একদল ভুয়া প্রতারক-অসাধু চক্র সাধারণ মানুষের ইমোশন টা কাজে লাগিয়ে তৈরি করে তুলেছেন ভিক্ষার নাম করে রমরমা ব্যাবসা।
আমরা যদি একটু সচেতন হয় তাহলে হয়ত আমরা আমাদের সাহায্য সহযোগিতা ও দান করার অর্থ টাকে সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারব।
আমরা সকালেই সচেতন হয় অসাধু ভিক্ষা ব্যাবসায়ীর প্রতারণার চক্রে পা না দিয়ে আমাদের আসেপাশের অসহায় হতদরিদ্র মানুষকে সাহায্য করি।
যেই লোক গুলা সত্যিকার অর্থেই পাওয়ার যোগ্য তাদেকে ই সাহায্য করি।
আমাদের দান করা অর্থ টাকে সঠিক লোকের হাতে পৌঁছে দেয়।
সকলেই ভালো থাকব আশেপাশের সকলকে ভালোরাখার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।