সম্পাদকীয় প্রতিবেদন( ইসমাইল হোসেন সৌরভ)
★অনেক মানুষের প্রাণহানি
★হেক্টরের পর হেক্টর ফসল ডুবে গেছে।
★গবাদি পশু পাখির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।
★ভাসিয়ে নিয়ে গেছে অনেক ঘরবাড়ি।
★ গাছপালা পড়ে ভেঙে গেছে অনেক ঘরবাড়ি।
★পুকুর তলিয়ে মাছ চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি।
★রাস্তাঘাট ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
★বন্যার স্রোতে ভেসে গেছে অনেক বাধঁ।
২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো হানা দিল ভয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় রেমাল।২৬ মে ২০২৪ প্রকূলবর্তী ১৯ টি জেলায় ভয়ংকর রূপ ধারণ করে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সকাল থেকে আকাশে কালো মেঘের আস্তরণে ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে থাকে উপকূলে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর ধমকা হাওয়ায় জানান দিচ্ছিল রেমালের আগামনের। বিকাল ৪ টা নাগাদ শুরু হয় তান্ডব। ৪০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দানব আকৃতির ঘূর্ণিঝড়টি পটুয়াখালীর খেপুপারা ও পায়রা বন্দর দিয়ে উপকূলে আঘাত হানে। এরই মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ১০ নাম্বার মহা বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে স্থানীয় প্রশাসন আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল।
বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, খুলনা, ঝালকাঠি, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট,বরিশাল, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম সহ উপকূলীয় ১৯ টি জেলায় আঘাত করে রেমাল। এই ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় ১৯ টি জেলায় ৪০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ভাসিয়ে নিয়ে যায় ঘরবাড়ি , আসবাবপত্র, পশু পাখি, জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়। অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। হেক্টরের পর হেক্টর ফসলি জমি পানিতে ডুবে যায়। কলাপাড়া, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট বরগুনা সহ অনেক জেলায় মাছ চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। প্রবল স্রোতে বাঁধ ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
মূল সড়কে পড়ে আছে বিশাল আকৃতির গাছ। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে উপকূলীয় জেলা গুলোতে। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যাপক শংকট দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করেছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
স্যালাইন ও ওষুধের অভাব দেখা দিয়েছে এলাকায়। রান্না করার ব্যবস্থা না থাকায়, না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে উপকূলবাসীর। পানিবন্দী হয়ে আছে অধিকাংশ মানুষ। এ প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন উপকূলবাসী ।