আলমগীর কবীর:জেলা:প্রতিনিধি
গাইবান্ধার প্রধান নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। উজান ঢলের পানি বেশিভাগ তীব্রভাবে আসতে শুরু করেছে সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদর উপজেলায়।
টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের পানির ঢলে সাঘাটায় একটি গ্রামের বাঁধ ভেঙে গেছে।
উপজেলার বন্যা-নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পূর্বাংশের তিন ইউনিয়নের অন্তত ১২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
অপদিকে ফুলছড়ি উপজেলার বেশকয়েকটি স্থানে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাঁধ অতিক্রম করে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
উপজেলার সাতটি ইউনিয়নই নদীর পানিতে ডুবতে শুরু করেছে।
এছাড়া সদর উপজেলার কামারজানি ও মোল্লারচর ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামের ফসলি জমি-বসতবাড়ি তলিয়েছে।
বাঁধভাঙা পানির স্রোতে জেলার বন্যা পরিস্থিতি প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে ।
পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি,ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার
এরান্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর,
হরিপুর ইউনিয়ন ও সাঘাটা উপজেলা ভরতখালী ও হলদিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।
অন্যদিকে নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথেই নতুন করে সদরের মোল্লার চর ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের
বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
নদ-নদীবেষ্টিত জেলার চার উপজেলার অন্তত ২২টি ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চলে পাট ও গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি পটোল
এবং মরিচসহ অন্যান্য ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা তাদের
খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে আরও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধায় সবগুলো নদ -নদীর পানি বাড়ছে ।
তবে ঝুঁকি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে