কমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) :
পরিবার বলছে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল ওই স্কুলছাত্রী। তবে শিক্ষক এবং সহপাঠীরা বলছে সে সুস্থ ও স্বাভাবিক ছিল।
উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সিকদার বাড়িতে ১ ডিসেম্বর রবিবার রাতের কোনো এক সময় ওই স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া যায়। সে ওই বাড়ির টমটম চালক জসীমের মেয়ে। শিক্ষার্থী লিমা পাথরঘাটা কেএম মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির স্কুলছাত্রী ছিল বলে জানা গেছে। শনিবার সে পরীক্ষা দিয়েছে এবং রবিবার তার আরও একটি পরীক্ষা ছিল।
খবর পেয়ে পাথরঘাটা থানাপুলিশ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থী লিমার পরিবার থেকে বলা হয় সে নিজ ঘরের দোতলায় এবং ঘরের চালার মাডামের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পাশাপাশি তাদের মেয়ে কিছুটা মানুসিক ভারসাম্যহীন কিংবা বদমেজাজি ছিল। একারনে রাতের কোনো একসময় আত্মহত্যা করেছে। এদিকে লিমার স্কুল শিক্ষক মোঃ মুরাদুল হক বলেন,লিমা সম্পূর্ণ সুস্থ একজন শিক্ষার্থী ছিল। সে কখনো স্কুল ফাঁকি দেয়নি। এছাড়াও সে মানষিক ভারসাম্যহীন ছিল কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষক মুরাদুল হক সাফ জানিয়ে দেন এরকম কোনো ঘটনা-ই নেই। সে সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক ভাবেই স্কুলে আসত এবং ক্লাস করত। গতকাল সে পরীক্ষা দিয়েছে এবং আজও তার পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল।
পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন,আমরা খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছি। মেয়েটি একটু মানুষিক সম্যা এবং বদমেজাজি ছিল বলে পরিবার দাবী করছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে।