বিশেষ প্রতিনিধ ঃ মোঃ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ রানা
পরিবহন থেকে ভ্যাট ট্যাক্স পাচ্ছে না বাংলাদেশ সরকার। কেন তা নিয়ে কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় দেখা যায় গাড়ির কাগজ পত্র সঠিক নেই। আরো দেখা যায় গাড়ির ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই আরো বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় ১৬ থেকে ১৭ বছরের ছেলেরা ড্রাইভিং করছেন যার কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে এভাবে গাড়ির কাগজ পত্র ছাড়া ও অল্প বয়সের ছেলেদের দিয়ে গাড়ি চালানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ । কিন্তু এর কোনটাই পালন করছেন না প্রশাসন কেন তা আজও জানা যায়নি । এদিকে আরো দেখা যায় সড়ক মহাসরক গুলিতে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা ভ্যান ইজিবাই এর কোনটার ই বৈধতা নেই বললেই চলে এই অটো রিক্সা গুলির জন্য যানজটে পড়েছেন । আবার হাজারো মানুষের পেট চলছে কিন্তু অবৈধ ভাবে কোন গাড়ি বাংলাদেশে থাকতে পারে না । আরো দেখা যায় ইজি বাইকের মত সিএনজি চালিত গাড়ি যার কোন প্লেট নাম্বার ও কাগজ পত্র নেই। এভাবে সরকারি রাজস্ব আয় ফাঁকি দেওয়ার কারণ কি তা আজও জানা যায়নি। আবারো জানা যায় কিছু গাড়ি মালিকের নাকি মাসিক একটি মাসোহারা ব্যবস্থা করা আছে মাস গেলে কাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন মাসোহারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মালিকপক্ষ বলেন সাফিক সার্জেন তারাই মাসোহারা নিচ্ছেন এ ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত । আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এখনো আইন মেনে চলছে না। আইন কি আইনের শাসন ও ধারা কি জানেন কিনা। সড়ক পরিবহণ আইন ২০১৮ ইং নতুন আইনে সাজা ও ধারা তুলে ধরলাম। ৬৬ ধারা লাইসেন্স ছাড়া গাড়ী চালানো অনধিক ২৫,০০০ টাকা জরিমানা বা ৬ মাস জেল । ৬৯, ধারা ভুয়া লাইসেন্স অনধিক ১-৫ লাখ টাকা জরিমানা বা ৬ মাস থেকে ২ বছর জেল । ৭১ ধারা কন্ডাক্টর লাইসেন্স বিহীন ৫,০০০ টাকা জরিমানা বা ১ মাস জেল। ৭২ ধারা, রেজিস্ট্রেশন বিহীন গাড়ী চালানো অনধিক ৫০,০০০ টাকা জরিমানা বা ৬ মাস জেল । ৭৫ ধারা, ফিটনেস বিহীন গাড়ী চালানো অনধিক ২৫,০০০ টাকা জরিমানা বা ৬ মাস জেল । ৭৬ ধারা, ট্যাক্স টোকেন বিহীন গাড়ী চালানো অনধিক ১০,০০০ টাকা জরিমানা । ৭৭ ধারা, রুট পারমিট বিহীন গাড়ী চালানো অনধিক ২০,০০০ টাকা জরিমানা বা ৩ মাস জেল ।৮০ ধারা, গণপরিবহন ভাড়ার চার্ট প্রদর্শনে ব্যর্থ অনধিক ১০,০০০ টাকা জরিমানা বা ১ মাস জেল । ৮৫, ধারা, ট্রাফিক সংকেত অমান্য করলে অনধিক ১০,০০০ টাকা জরিমানা বা ১ মাস জেল । ৮৬ ধারা, অতিরিক্ত ওজন বহন করলে অনধিক ১,০০,০০০ টাকা জরিমানা বা ১বছর জেল ।৮৭, ধারা গাড়ী অতিরিক্ত গতিতে চালালে অনধিক ১০,০০০ টাকা জরিমানা বা ৩মাস জেল । ৮৮, ধারা উচ্চমাত্রার হর্ন ব্যবহারে অনধিক ১০,০০০ টাকা জরিমানা বা ৩ মাস জেল । ৯০ ধারা গাড়ী অবৈধ পার্কিং করলে অনধিক ৫,০০০, টাকা জরিমানা । ৯০, ধারা যত্রতত্র যাত্রী বা পন্য উঠানো নামানো অনধিক ৫,০০০ টাকা জরিমানা । ৯২ ধারা উল্টো পথে গাড়ি চলাচল করলে অনধিক ১০,০০০ টাকা জরিমানা । ৯২ ধারা হেলমেট না থাকলে ও মোটর সাইকেলে অতিরিক্ত যাত্রী বহনে অনধিক ১০,০০০ টাকা জরিমানা বা ৩ মাস জেল । ৯২ ধারা সিটবেল্ট না বাধলে অনধিক ৫,০০০ টাকা জরিমানা বা ১ মাস জেল । ৯২ ধারা চালক ইয়ার ফোন বা মোবাইলে কথা বললে অনধিক ৫,০০০ টাকা জরিমানা বা ১ মাস জেল।১০৪ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ ও নির্দেশনা অমান্য করলে অনধিক ২০,০০০ টাকা জরিমানা বা ৩ মাসের জেল । এরকম অনেক নিয়ম আছে যা আমাদের ট্রাফিক পুলিশ হাইওয়ে পুলিশ ও গাড়ির মালিক ও ড্রাইভার কেউ পালন করে না তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন তিনি যেন যথাসম্ভব এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। আমাদের সংবাদকর্মী আরো জানতে পারেন গাজীপুর মহানগর অধিকাংশ গাড়িরই কাগজপত্র কিছুই নাই এসব কাগজপত্র ছাড়া গাড়িগুলির প্রতি মাসে মাসোহারার ব্যবস্থা করে রেখেছেন ট্রাফিক পুলিশ ও ট্রাফিক সার্জেন। আরো আছেন গাজীপুর কালীগঞ্জ উপজেলার অটো রিস্কা সিএনজি চালিত যেসব গাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলা চলাচল করছেন তার একটি গাড়ির ও কাগজপত্র নেই আরো আছে কাপাসিয়া উপজেলা কালিগঞ্জ উপজেলা ও শ্রীপুর উপজেলা মহাসড়ক ও গাজীপুর মহানগর যেসব পরিমাণ অবৈধ গাড়ি আছেন তা থেকে অবৈধ টাকা উপার্জন করিতেছেন ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ের পুলিশ এভাবে যদি চলতে থাকে একদিন হয়তো দেখা যাবে এদেশের আইন বলতে কিছুই থাকবে না।।।। আমরা যেন গর্বের সাথে বলতে পারি আমার দেশ আমার অহংকার আমি গর্বিত আমি বাঙালি।