আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি-
ব্রাহ্মনবাড়িয় আখাউড়া উপজেলা আসন্য ১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ইং পৌরসভা মেয়র নির্বাচন প্রতিদন্দী প্রার্থী জনাব নুরুল হক ভূইয়া (৫০)কে প্রতিপক্ষরা প্রতিহিংসায় পড়ায়ন হয়ে অদ্য ১১ই ফেব্রুয়ারী ২০২১ইং দুপুরে নির্বাচনী প্রচারনা ময়দানে গুলি করে হত্যা করে। এই হত্যাযজ্ঞটি এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি করাতে বর্তমানে আইন সংস্থা আখাউড়া বাজার ও আশপাশ এলাকায় ৪৪ ধারা জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করছেন। এই নির্মম হত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় যে-অদ্য সকাল থেকে আখাউড়া বাজার এলাকায় মেয়র প্রতিদন্দীরা দলীয় প্রচারনা নিয়ে চরম ব্যস্ততম সময় অতিবাহিত করছিল। বিশেষভাবে ক্ষমতাশীন দলীয় পৌর মেয়র তাজকিল খলিফা কাজল ও প্রতিদন্দী বিএনপির প্রার্থী জয়নাল আবেদীন আব্দু মিয়ার সমর্থকরা বাজার এলাকায় নিজেদের প্রচারনা আধিপত্ত বিস্তার নিয়ে ক্ষনে-ক্ষনে ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্তহয়। এবিষয় প্রতিনিধি স্থানীয় জনগনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারেন যে-আওয়ামী- বিদ্রোহী নেতা সতন্ত্র প্রার্থী নুরুল হক ভূইয়া দুপুর আনুমানিক ১২.০০/১২.৩০ ঘটিকায় তিনি নির্বাচনী প্রচারনা মিছিল নিয়ে কলেজ রোড অতিক্রম করে বাজার চৌরাস্তায় প্রবেশের পথে প্রতিপক্ষ ক্ষমতাশীন মেয়র ও বিএনপির সমর্থকদের বাধার সম্মুখীন হয়। একপর্যায় উভয়ের মধ্যে ত্রিমূখী সংঘর্ষ থেকে ভয়াবহ দাঙ্গাফসাদ শুরুহলে মুখোশ পরিহিত ৪/৫জন আগ্নেঅস্ত্র ধারী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গোলাগুলি নিক্ষেপ করতে থাকলে ভিকটিম নুরুল হক গুলি বিদ্ধহয়ে ঘটনা স্থলে লুটিয়ে পড়েন। তাহাকে স্থানিয় জনগন সেখান থেকে রক্তাক্ত জ্ঞানহীন উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হাজির করলে ডিউটি ডক্টর তাহার শারীরিক অবস্থা শোচনীয় বুঝতে পেরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাৎক্ষনিক জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। কিন্তু অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের ফলে ভিকটিমকে সদর হাসপাতালে পৌঁছানোর পূর্বেই রাস্তায় মৃত্যু ঘটে এবং আনুমানিক ১৫.১৫ ঘটিকায় তাহাকে হাসপাতালে উপস্থিত করলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষীত করেন। এই নির্মম হত্যাকান্ড এলাকায় স্থানিয় জনগন ও রাজনৈতীক মহলে ভয়াবহ উত্তেজনার সৃষ্টি ঘটালে বাজার এলাকায় নির্বাচনী প্রার্থীদের মধ্যে অদ্য সন্ধা থেকে বিক্ষিপ্ত ধাওয়া ও সংর্ঘষ চলমান এবং সংবাদ প্রতিনিদি সেখানে উপস্থিত হয়ে এই জটিল পরিস্থিতি উপলব্ধি করেন। এ বিষয় আইন সংস্থার সাথে যোগাযোগে জানতে পারেন যে-বিএনপির মেয়র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন রাজনৈতীক শত্রুতার জের হিসাবে নুরুল হককে গুলিকরে হত্যার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে তাহার দলীয় সদস্যদের বিরুদ্ধে অদ্য সন্ধায় মামলা করছেন। এই মামলায় বিএনপি নেতা জয়নাল আবেদীন আব্দু মিয়া (৫৩) কে প্রাথমিকভাবে মূখ্য আসামী এবং পরিবার ও দলীয় সদস্য যথা-২।আশরাফ মিয়া (৩৩),৩। মাইনুল ইসলাম (৩৩), ৪। বাবুল মিয়া (৪৮),৫। বিল্লাল মিয়া (৪৫), ৬।আজাদ মিয়া (৩৭),৭/আনোয়ার মিয়া (৪৩),৮। সুজন মিয়া (৪৪) গং- স্থানিয় বাসিন্দাকে অপরাধী হিসাবে মামলায় যুক্ত করা হয়েছে এবং পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার তৎপড়তা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার পরিস্থিতি অত্যন্ত থমথমে এবং স্থানিয় কিছু প্রত্যক্ষদর্শীদের হত্যার বিষয় জিজ্ঞাসা বাদে ঘটনার বাস্তবতা সম্পূর্ণ বিপরীত ধারনা জানাযায়। তাহাদের ভাষ্য মোতাবেক-ক্ষমতাশীন দলীয় মেয়র এর ষড়যন্ত্রে মাক্স পরিহিত সন্ত্রাসীরা সুপরিকল্পীতভাবে প্রতিদন্দী আওয়ামী বিদ্রোহী সতন্ত্র মেয়র প্রার্থীকে গুলিকরে হত্যাকান্ডর অভিযোগটি রাজনৈতীক প্রতিহিংসার মারপেচে বিএনপির প্রার্থী উপর চাপিয়ে নির্বাচন থেকে তাহাদের বাতিল ঘোষীত করার ষড়যন্ত্র হিসাবে দাবী করছেন।