সিলেট প্রতিনিধি :
অদ্য ২৭ শে জুলাই ২০২২ইং বুধবার অত্যন্ত
চাঞ্চল্যকর নারী নির্যাতন ও অপহৃনের ঘটনার তথ্য প্রেরন করেন। লুৎফা বেগম নামের এক মধ্য বয়সী নারী ও তাহার স্বামী এলাকার সম্মানিত ব্যবসায়ি ব্যক্তিত্ব জনাব মোঃ আলতাফ হোসেনর স্ত্রী গতকাল ২৬ শে জুলাই মঙ্গলবার দূপুর আনুমানিক ১.০০/১.৩০ ঘটিকায় বাজার বাসষ্টেন্ড থেকে রিক্সাযোগে বাড়ী ফেরার সময় তাহাদের নিকটতম আত্মিয় সম্পর্কে ভাতিজা ছাত্রলীগ নেতা তাজের হোসেন, পিতা-আলমগির হোসেন রুনু সরকারী দলীয় প্রভাবশালি নেতার ছেলে ৬/৭জন মাক্স পরিহিত দূর্বৃত্তদের অস্ত্রের মুখে প্রকাশ্যে তাহাকে লাঞ্চিত ও অপহৃনের চেষ্টা চালায়। এমতাবস্থা পথচারী ও স্থানীয় লোকজন মহিলার আর্তনাদে সেখানে হাজির হলে দূর্বৃত্তরা দ্রুত মটোর বাইকে পালিয়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত ও অর্ধজ্ঞানহীন অবস্থায় ভিকটিম নারীকে উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানে নিবির পরিচর্যায় ৬/৭ ঘন্টা চিকিৎসা নিয়ে স্বগৃহে ফিরেন এবং ডাক্তারী রিপোর্টসহ স্বামীকে নিয়ে রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করেন। কিন্তু দূঃখজনক যে-আইন সংস্থা আসামীদের পরিচিতি জানারপর অভিযোগটি গ্রহন না করে উল্টা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে সমঝতার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উপদেশ দিয়ে বিদায় করেন। যাহার ফলে ভিকটিম পরিবার সাবির্কভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিপক্ষ চাচাতো ভাই আলমগির হোসেন রুনু ও জাবের হোসেনসহ পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকি ও জীবন নাশের হামলা/মামলার কারনে বাধ্য হয়ে অদ্য প্রেস ক্লাবে এই প্রতিবাদী সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এই অনুষ্ঠানে ভিকটিম পরিবারের সদস্য ও লুৎফা বেগম সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ক্রন্দনরত অভিযোগ করেন যে-প্রতিপক্ষ আলমগির হোসেন রুনু ও জাবের হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন পূর্বে পৈতৃক সম্পত্তির ন্যায় পড়ায়ন ভাগ-বাটোয়ারা সম্পাদিত হয়েছিল। কিন্তু কালক্রমে চলমান উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে তাহাদের সম্পত্তির বাজার মূল্য বৃদ্ধির ফলে তাহারা অনৈতীক লোভ-লালোসার বসভূত হয়ে বেআইনি রাজনৈতীক ক্ষমতার জোরে তাহাদের সম্পত্তি জোরদখল ও ভয়ভীতি শারীরিক নির্যাতন ইত্যাদি বর্বরতা চালাচ্ছে। উপরন্ত নিজেদের গুরুতর অপরাধের দায়ভার উল্টা চক্রান্ত মূলক ভাবে তাহাদের উপর চাপিয়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সমাজে চরম মানহানিকর হেওপতিপন্ন পরিস্থিতির সম্মুখীন করেছে বিধায় জনাব মোঃ আলতাফ হোসেন ও পরিবার সম্মেলীত ভাবে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসী ও আইন প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে জীবন যাপনের আরোশ গুজার করেন। সংবাদ প্রতিনিধি এই বিষয় থানার সাথে যোগাযোগে জানতে পারেন যে-ভিকটিম পরিবারের অভিযোগটি প্রাথমিক পর্যালোচনা ও অনুসন্ধানে বাস্তবতার কোন প্রত্যক্ষ স্বাক্ষ্যপ্রমান না পাওয়ার কারনে মামলা গ্রহন করেন নাই। তবে পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহ পর্যবেক্ষন ও তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু এখনো সন্দেহ ভাজন কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেন নাই তবে তৎপড়তা বহাল আছে বলে দাবী করেন।