নিরেন দাস,জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:
জয়পুরহাটে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশ-ইউপি চেয়ারম্যানসহ মোট ৪৪ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে জয়পুরহাট শহরের পাঁচুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত জয়পুরহাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা ইফাতকে প্রথমে জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছেন চিকিৎসকরা। পরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের আসবাবপত্র, জানালা দরজা ভাঙচুর করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ‘বিকেলে শহরের প্রধান সড়কে শান্তি মিছিল শেষে দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশে একত্রিত হচ্ছিলাম। এ সময় বিএনপির পদযাত্রা থেকে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। পাথরের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম সৈকত, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজা, জেলা যুবলীগের সহসাধারণ সম্পাদক রাহাত, পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি বর্ষণ, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আবু কাহাত, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগকর্মী ইফাতসহ ১২ জন আহত হন।
এদিকে একই অভিযোগ করেছেন জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলজার হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিকেলে পদযাত্রা শেষে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করছিলাম। এ সময় রেল লাইনের পূর্ব পাড় থেকে বিনা উসকানিতে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ।’
তিনি দাবি করেন, ইটের আঘাত ও পুলিশের রাবার বুলেটে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু রাইহান উজ্জলসহ মোট ২৫ জন আহত হন। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির অফিসে ভাঙচুর চালায়।’
জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ জন ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ইফাত নামে একজনকে বগুড়ায় স্থানান্তর করে হয়েছে।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় থানায় কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি।