আরশাফুল আলম বিশেষ প্রতিনিধি (গাজীপুর )
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের (নোয়াগাঁও) ৭নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ মমিন উদ্দিন খানের জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক ৩টি হোটেল ও ১টি ফ্লাট বাসার ময়লা পানির ড্রেন নেয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয় ।
মামলায় বিবাদী করা হয়েছে ১। সামসুল খান (৫০), পিতা মৃত. ছাদু খান ২। জাকির হোসেন (৪৫), ৩। আনোয়ার হোসেন (৪০), উভয় পিতা মৃত. আবু হাসান, সর্ব সাং- বাদিয়ার চালা, ৪। সোহরাব মিয়া (৪৫), পিতা মৃত. আঃ জব্বার সাং- কাঁচারীপাড়াসহ- অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে।
সিনিঃ জুডিশিয়াল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত- গাজীপুর, সংবাদকর্মী মামুন হোসেন এম.এ মামলাটি দায়ের করেন। বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ বিচারক ওই নালিশি বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ) ডিবিতে প্রেরণ করেন।
বাদী পক্ষের অভিযোগ, বিবাদীগণ দীর্ঘদিন পূর্ব থেকে জোরপূর্বক আমার পৈত্রিক ভোগদখলীয় জমিতে ময়লা পানির ড্রেন (সবজি বাগান) দিয়ে ভূমি ও বাগানের ক্ষতি অব্যাহত রেখেছে।
মামলার আরজিতে বলেন, বিবাদীরা প্রচলিত আইন-কানুনের কোনো ধার ধারেন না। অন্যায়ভাবে চাপ প্রয়োগ করে আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আরজিতে আরও বলা হয় ২৮ জুন, অনুমান ১.৩০ মিনিটে বিবাদীগণ পূর্ব পরিকল্পনানুসারে দা, শাবল, লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বসত বাড়ীর পূর্বপাশ্বে টিনসেড চাপড়া চালের উপরে অনধিকার ভাবে আরোহণ করে জোরপূর্বক হোটেল ও বাসার ময়লা পানির পাইপ দেয়ার চেষ্টা করে, তখন আমার বড় ভাই ঘটনাস্থলে গিয়ে এ অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলে বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ খুন জখমের উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারপিঠ শুরু করে এবং ভাইয়ের লুঙ্গির কোচে মানিব্যাগে থাকা ২৫,০০০/- টাকা কারিয়া নেয়। ঐ সময় তার আর্তচিৎকারে আমিসহ অনেকে আগাইয়া আসিলে আমাদেরকেও খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করে এবং জোরপূর্বক ময়লা পানির ড্রেন সবজি বাগানে ছাড়িয়া দেয়।
পরে প্রাথমিক ভাবে ভাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আরজিতে আরও বলা হয়, ড্রেন বন্ধ করতে কেউ আসলে তাকে খুন করে লাশ গুম করা হবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ওই জমির উপর দিয়ে ৩টি হোটেল ও ১টি ফ্লাট বাসার ময়লা পানির দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেন অব্যাহত রয়েছে।