ইত্তিজা হাসান মনির, বরগুনা প্রতিনিধি।
গত ৫ই আগষ্ট বাসা ভাড়া নেয়ার কথা বলে স্বামী স্ত্রী পরিচয় সুমী (২৫) শামীম (৩০) নামের এক দম্পত্তি বরগুনার সদর উপজেলার খেজুরতলা নতুন বাস ষ্টানের উত্তর পাশ্বে শাহ আলম নামের এক মালিকের বাসায়। শাহ আলম চক্ষু চিকিৎসার জন্য ঢাকা অবস্থান করায় স্ত্রী সালমা বেগম একাই বাসায় ছিল।
নিজেদের একেবারে ব্যাগ বিছানা ছাড়া খালি অবস্থায় সুমী এবং তার স্বামী শামীম ভাড়াটিয়া বাসায় উঠলে গত তিনদিন যাবৎ একই রুমে অবস্থান করতে থাকে। অদ্য সকাল ৭:০০ ঘটিকায় সালমাকে ভাড়াটিয়া সুমী এবং শামীম এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে সালমা এদিকে সেদিকে ছুটোছুটি করেও তাদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি।
এক পর্যায় সালমা রক্তাক্ত অবস্থায় বাসার পিছন দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে নতুন বাস ষ্টানে গিয়ে লোকজনকে গঠনা বললে তারা এসে সুমীকে বাসার পাশ্বে ছন ক্ষেত থেকে ধরে এনে পুলিশকে খবর দেয় এবং শামীম পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
সুমীকে বরগুনা থানায় জিজ্ঞেস করে জানা যায় তার বাড়ী মহিপুরের চর লতা ডাঙ্গা গ্রামে তার বাবা মোঃ আজিজ। সুমী আরো বলে তার স্বামীর সাথে দুই বছর আগে ছাড়াছাড়ি হলেও বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের উরবুনিয়া গ্রামে তার দুটি সন্তান রয়েছে।
এদিকে সালমা বেগমকে আহত অবস্হায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে। আহত সালমা বেগমের আত্বীয় স্বজনের কাছে জানা গেছে সারা শরীরে একশত বিশটি সেলাই দিয়ে ব্লাড থামানো হয়েছে।
আসামী সুমীকে বরগুনা সদর থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাখা হয়েছে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজাবুর রহমান বলেন আসামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর আইনি ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।