এম জাফরান হারুন, নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী:
ভাতের হোটেল, যেন হোটেল দিয়ে ভাত বিক্রিই তাদের পেশা কিন্তু না! ভাতের হোটেল থাকলেও মুল পেশা তাদের গাঁজা বিক্রি করা। তাই হোটেলের পাশাপাশি গোপনে করতেন গাঁজা বিক্রি।
এদিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেই ভাতের হোটেলে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালান। এবং অভিযান চালিয়ে সেই হোটেলের রান্না ঘর থেকে আধা কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন পুলিশ। এসময় গাঁজা কারবারি পেশায় নিয়োজিত ৩ জনকে আটক করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (১০ই আগষ্ট) দুপুরের দিকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার মহিষকাটা বাজারে মোঃ ফিরোজ গাজী ওরফে ভান্ডারীর ভাতের হোটেলে। ফিরোজ গাজী আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ঝাটিবুনিয়া গ্রামের মৃত চান্দু গাজীর ছেলে।
থানা পুলিশ জানান, উপজেলার আমড়াগাছি ইউনিয়নের ঝাটিবুনিয়া গ্রামের মৃত চান্দু গাজীর ছেলে মোঃ ফিরোজ গাজী ওরফে ভান্ডারী ফিরোজ ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম সহ মেয়ে রেকসোনা ও শারমিন সুলতানা এবং ছোট মেয়ে জামাই মুন্সিগঞ্জ জেলার পয়সাগাও গ্রামের সিরাজ বেপারীর ছেলে জাকির হোসেন মিলে মহিষকাটা বাজারে হোটেল ব্যবসার আড়ালে মাদক কেনাবেচা করতো। তাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের খাবার হোটেলের রান্না ঘরের মাটির নিচে একটি টিনের জেরের মধ্যে থেকে আধা কেজি গাঁজাসহ রেকসোনা (৩০), শারমিন সুলতানা (১৯) ও জামাই জাকির কে আটক করা হয়। তবে এসময় পুলিশের টের পেয়ে ফিরোজ গাজী ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম সুকৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এবিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, পাঁচ জনকে আসামি করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদের মধ্যে গ্রেফতারকৃত তিন জনকে আদালতে মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আর অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।