বিডি ক্রাইম হেল্থ ডেক্স:
এটি জেনেটিক এবং পরিবেশগত কারণে হয়। প্রধান কারণ হিসেবে মায়ের জিংক বা ফোলিক এসিড এর অভাবে বাচ্চার এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মাইলোমেনিনগোসিল এর উপসর্গ:
® মেরুদণ্ডের পিছনে পানির থলি দেখা যাওয়া যা সাধারণত ত্বকের একটি পাতলা স্তর দ্বারা আবৃত থাকে।
® ক্ষত স্থানের নিচে অবশ হয়ে যাওয়া।
® ক্ষত স্থানের নিচে বোধশক্তি হারানো।
® প্রশ্রাব-পায়খানা নিয়ন্ত্রণের সমস্যা।
® মেরুদণ্ড বাঁকা হয়ে যাওয়া যেমন স্কোলিওসিস।
® হাইড্রোসেফালাস (মস্তিষ্কে সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইডের বিল্ড আপ এর স্বাভাবিক সঞ্চালন ব্যাহত হওয়ার কারণে মাথায় পানি জমে যাওয়া।)
চিকিৎসা :
© সার্জারি:
জন্মের পরপরই সার্জারী করা হয়ে থাকে, মেরুদণ্ড এর খোলা অংশ বন্ধ করতে এবং উন্মুক্ত মেরুদন্ডকে রক্ষা করতে।
সার্জারীর লক্ষ্য হল ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণ এবং আরও ক্ষতি প্রতিরোধ করা।
হাইড্রোসেফালাস এর চিকিৎসা :
হাইড্রোসেফালাস থাকলে, মস্তিষ্ক থেকে শরীরের অন্য অংশে অতিরিক্ত সেরিব্রোস্পাইনাল তরল নিষ্কাশনের জন্য একটি শান্ট স্থাপন করা হয়ে থাকে।
টেক হোম ম্যাসেজ :
® আপনারা যারা বাচ্চা নিবেন বলে ভাবছেন তারা অবশ্যই বাচ্চা কনসিভ করার চার মাস আগে থেকে ডক্টর এর পরামর্শ নিয়ে জিংক এবং ফোলিক এসিড খাবেন।
® যদি কোন বাচ্চা জন্মের পরে মাইলোমেনিনগোসিল নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন তবে ভয় না পেয়ে দ্রুত একজন নিউরোসার্জন এর পরামর্শ নিবেন।
সময়মত সঠিক চিকিৎসায় বেঁচে যেতে পারে একটি শিশু পঙ্গুত্ব বরণ করা থেকে।
ডা: মো: আব্দুল আহাদ
এম,বি,বি,এস (সি ইউ)
রেসিডেন্ট, এম,এস (নিউরোসার্জারী)
নিউরোসার্জারী বিভাগ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, ঢাকা।
ব্রেইন, স্পাইন(মেরুদণ্ড), নার্ভ, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, মাথা ব্যাথা, কোমড়ে ব্যাথা, খিচুনি বা মৃগীরোগ,ব্রেইন টিউমার ও নিউরো-ট্রমা রোগের চিকিৎসক